মোহনবাগান: ২ (পেত্রাতোস, কামিংস)
ইউনাইটেড স্পোর্টস: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগান। কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইউনাইটেড স্পোর্টসেকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিল্ড ফাইনালে উঠল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ড্র করলেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে যেতেন জোসে মোলিনার ছেলেরা। তবে ড্র নয়, ম্যাচ জেতাকেই পাখির চোখ করেছিল মোহনবাগান। সেই লক্ষ্যে সফল গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাব। ম্যাচ জিতে শনিবারের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হতে চলেছেন জেমি ম্যাকলারেনরা।
ম্যাচের শুরুটা কিছুটা অগোছাল করে মোহনবাগান। পরিস্থিতির সুযোগ বুঝে মাঝেমধ্যেই আক্রমণ শানাচ্ছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস। ১৪ মিনিটে সুযোগ পেয়ে যান ইউনাইটেডের নাইজেরিয়ান তারকা চিজোবা ক্রিস্টোফার। তাঁর শট কোনওক্রমে বাঁচান বাগান গোলরক্ষক সাইদ জাহিদ। ১৭ মিনিটে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি মোহনবাগান। টেনচামকে অসাধারণ পাস দিয়েছিলেন ব্রাজিলীয় তারকা রবসন। কিন্তু টেকচাম নিখুঁতভাবে বল রাখতে পারলেন না বক্সে।
২১ মিনিটে প্রায় আত্মঘাতী গোল করে ফেলেছিলেন মেহতাব সিং। ২৬ মিনিটে দিমি পেত্রাতোসের সাজানো বল পা ছোঁয়াতে পারেননি আশিস রাই। ফলে সহজ সুযোগ হারায় মোহনবাগান। ২৮ মিনিট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট ইউনাইটেডের সুজল মুণ্ডার শট। তখনও পর্যন্ত সেয়ানে সেয়ানেই লড়াই চলছিল। ৪৪ মিনিটে মোহনবাগানের আক্রমণে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। কামিংসের মাইনাস থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন দিমি। বিরতির সময় খেলার ফলাফল ছিল মোহনবাগানের পক্ষে ১-০।
এই ম্যাচে নামার আগে মোহনবাগান কোচকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল মনবীর সিং এবং অনিরুদ্ধ থাপার চোট। তাঁরা এই ম্যাচে ছিলেন না। অন্যদিকে, ছিলেন না বিশাল কাইথও। তাঁর জায়গায় বাগান তিনকাঠির দায়িত্ব সামলান সাইদ জাহিদ। তবে এদিন শুরু থেকেই ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। কোচের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রাখলেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার খানিক আগেই তাঁর গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। গোলের পরেই উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দেন বাগান ফুটবলাররা। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই দাপট বজায় থাকে। ৪৯ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে স্কোর লাইন দ্বিগুণ করেন জেসন কামিংস। এর পর দুই পক্ষই বেশ কিছু সুযোগ পেলেও তা থেকে গোল হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন রবসন।
