সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন কি নেইমারের থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে? এমনই সম্ভাবনা কিন্তু দেখা দিয়েছে। রবিবার রাতে স্যান্টোসের হয়ে নেমেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। গোল করতে না পারলেও দ্যুতি ছড়িয়েছেন মাঠে। মরশুমের শেষ ম্যাচে স্যান্টোস ৩-০ গোলে ক্রুজেইরোকে হারিয়েছে।
টানা তিন ম্যাচ চোট নিয়ে মাঠে নেমেছেন নেইমার। লক্ষ্য ছিল দলকে ব্রাজিলিয়ান লিগ সেরি 'এ'-তে টিকিয়ে রাখা। সেই লক্ষ্যে সফল হওয়ার পর ম্যাচের শেষে ব্রাজিলিয়ান তারকা জানিয়ে দিলেন তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হবে। ২০২৩ সাল থেকে পেশির চোটে ভুগছেন নেইমার। গত জানুয়ারিতে স্যান্টোসে যোগ দেওয়ার পরও চোট মুক্ত হতে পারেননি। ক্লাবের অবনমন বাঁচাতে চোট নিয়েই মাঠে নেমে পড়েছিলেন তিনি। এদিন আবার স্যান্টোসের হয়ে ১৫০টি ম্যাচ খেলার বিরল নজির তৈরি করলেন নেইমার। ম্যাচের শুরুতে তাঁর হাতে বিশেষ স্মারকও তুলে দেওয়া হয়।
ম্যাচের পর নেইমার বলেন, "আমি চোট নিয়েই খেলেছি। কারণ, আমার মনে হয়েছিল, ক্লাবকে সাহায্য করার জন্য এটাই সেরা উপায়। সপ্তাহটা আমার কাছে ভীষণই কঠিন ছিল। হাঁটুর চোট নিয়েই খেলেছি। যাঁরা আমাকে খেলার জন্য উজ্জীবিত করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ।" এর পরই তিনি অস্ত্রোপচারের কথা জানান। অস্ত্রোপচার করলে ফিট হয়ে ম্যাচে ফেরাটা বেশ কঠিন নেইমারের পক্ষে। অন্তত বিশ্বকাপের আগে সেটা অসম্ভব মনে হচ্ছে।
আসলে বহুদিন ধরেই ব্রাজিল দলের বাইরে নেইমার। ব্রাজিলের হয়ে শেষবার খেলেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। এমনকী পরের বছর বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি যে দল পরিকল্পনা করছেন, তাতে নেইমারের জায়গা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় তাঁর গায়ে বিখ্যাত হলুদ জার্সি ওঠেনি। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ডাক পাননি। নেইমারের জন্য সমস্যার বিষয় হল, অ্যান্সেলোত্তির অধীনে একটা ম্যাচও তিনি খেলতে পারেননি। যার ফলে তাঁকে সেভাবে পরীক্ষা করে নেওয়ার সুযোগ পাননি ইটালিয় কোচ। বরং তিনি নেইমারের বিকল্প হিসাবে একঝাঁক তরুণকয়ে দিয়ে দল সাজিয়ে ফেলেছেন। ফলে এরপর নেইমার ফিট হলেও আর তিনি ছাব্বিশের বিশ্বকাপে সুযোগ পাবেন কিনা, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
