সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বজয়ের পরই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ডি গুকেশ। চোখের জলে আনন্দ উৎসবে সামিল হলেন তাঁর বাবাও। আর গুকেশ চ্যাম্পিয়ন হতেই ছড়িয়ে পড়েছে ৭ বছর পুরনো একটি ভিডিও। যেখানে আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় দাবাড়ু জানিয়েছিলেন, সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বজয়ী হতে চান তিনি।
কথা রেখেছেন গুকেশ। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম ১৩টি গেমে ম্যাচের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো দুলেছে। প্রথমদিকে লিড ছিল চিনা দাবাড়ুর দখলে। কিন্তু ধীরে ধীরে পরপর গেম জিতে খেতাবি লড়াইয়ে কামব্যাক করেন গুকেশ। ১৪তম গেমটি মরণবাঁচন হয়ে দাঁড়ায় দুই দাবাড়ুর কাছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে জয় নিশ্চিত করেন গুকেশ। ৭.৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন তিনি। কনিষ্ঠতম হিসাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন, গ্যারি কাসপারভের নজির ভেঙে। বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন গুকেশ।
বিশ্বজয়ী হয়েই কেঁদে ফেলেছিলেন গুকেশ। ঘরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন গুকেশের বাবা। পাশে ছিলেন মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ প্যাডি আপটন। যিনি ধোনির বিশ্বজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। সেখানে গিয়ে আর আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা পারেনি ভারতীয় দাবাড়ু। বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন তিনি। আপটনও জড়িয়ে ধরেন গুকেশকে। পরে মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন তিনি।
তাঁর সাফল্যের পরই নেটদুনিয়ায় ভাসছে ৭ বছর পুরনো ভিডিও। একটি সাক্ষাৎকারে গুকেশকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাঁর স্বপ্ন কী? আত্মবিশ্বাসী দাবাড়ু উত্তর দিয়েছিলেন, সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বজয়ী হওয়া। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। আর সেই সঙ্গেই সোশাল মিডিয়ায় চর্চায় আরও একটি প্রশ্ন। বিশ্বজয়ী হয়ে কত টাকা পাবেন গুকেশ? চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি ক্লাসিকাল ম্যাচ জিতলে পাওয়া যায় ২ লক্ষ ডলার। গুকেশ তিনটি ম্যাচ জেতায় পেয়েছেন ৬ লক্ষ ডলার। অন্যদিকে দুই ম্যাচ জিতে লিরেন পেয়েছেন ৪ লক্ষ ডলার। ২৫ লক্ষ ডলার মোট পুরস্কার মূল্যের বাকিটা ভাগ হয়েছে দুজনের মধ্যে। অর্থাৎ সেখানে গুকেশের প্রাপ্তি ৭.৫ লক্ষ ডলার। সব মিলিয়ে ১৩.৫ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা।