সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শরীরচর্চা যেমন জরুরি, তেমনি ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকতেও ওয়ার্কআউট প্রযোজন। সঠিক ওয়ার্কআউটে শরীর থাকে চনমনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ঘুমের পাশাপাশি ভালো থাকবে মানসিক স্বাস্থ্যও। তবে ইদানিং এমন অনেক ঘটনাই সামনে এসেছে যে ব্যায়াম করতে করতে হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। অতিরিক্ত ওয়ার্কআউটের কারণেই এই মৃত্যু। সেই তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন সেলেবও। তাই শুধু জিমে গেলেই হবে না। শরীর বুঝে করতে হবে সঠিক শরীরচর্চা। নাহলেই হিতে বিপরীত হতে পারে। কী কী ব্যায়াম এড়িয়ে যাবেন জিমে? আসুন জেনে নিই।
শীর্ষাসন
শীর্ষাসন মাথায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং রক্ত চলাচল ঠিক রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে অবশ্যই এই ব্যয়াম এড়িয়ে যান। তবে শীর্ষাসন করার সময় যদি সঠিক পদ্ধতিতে না করেন তাহলে ঘাড়ে লেগে যেতে পারে। তাই ঠিক মতো না জেনে এই ব্যায়াম না করাই ভালো।
ক্রসফিট পুল আপ
ক্রসফিট পুল আপ যেহেতু শরীরের পেশীকে শক্তিশালী করে, তাই আপনাকে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। ফলে শরীরে আসে ক্লান্তি। আর সেই সময়েই সম্ভাবনা থাকে বিপদ ঘটে যাওয়ার। তাই প্রতিদিন এই ব্যায়াম না করাই ভালো।
লেগ এক্সটেনশন
লেগ এক্সটেনশন একটি জনপ্রিয় ব্যায়াম। বিশেষ করে কোয়াড্রিসেপস পেশীর শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু এর ফলে হাঁটুতে বিরাট চাপ পড়ে। হাঁটু, গোড়ালি বা উরুর আঘাত থাকলে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন এই ব্যায়াম। যদি লিগামেন্টে আঘাত থাকে, তাদেরও এই ব্যায়াম এড়ানো উচিত।
মেশিন স্কোয়াট
জিমে গিয়ে নতুন নতুন মেশিন দেখে সকলেরই মনে ইচ্ছে জাগে সেই সব মেশিনেই ওয়ার্কআউট করার। তবে সব মেশিনের ব্যবহার জেনে তবেই করা উচিত। এই ধরনের ব্যায়াম শরীরের নিম্নাঙ্গের শক্তি বাড়ায়। বিশেষ করে কোয়াড্রিসেপস এবং হ্যামস্ট্রিং পেশিগুলিকে শক্তিশালী করে। তবে এই বযায়াম করার সময় হাঁটুর উপর চাপও পড়ে বেশি। তাই হাঁটুর সমস্যা এড়াতে এই ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
ক্রাঞ্চ
ক্রাঞ্চ পেটের মেদ দূর করে, পেশিকে মজবুত ও টানটান করে, খাবার হজম হওয়া বা মেটাবলিক রেট বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে বেশি পরিমাণে করলে সমস্যা বাড়তে পারে। পেটে টান ধরতে পারে। তাই প্রয়োজন বুঝে করুন।
অতিরিক্ত কোনও ব্যায়ামই করবেন না। কোনও ব্যায়াম করার সময় যদি বমিভাব লাগে, মাথা ঘোরে বা শরীর ছেড়ে দেয়, তাহলে তখনই সতর্ক হতে হবে। ব্যায়াম বন্ধ করতে হবে। কোনও ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে ব্যায়ামের তুলনায় ওয়ার্ম আপ এবং কুল ডাউন সেশনের সময় বেশি হতে হবে। হালকা হাঁটা, জগিং, সাইকেলিং ভারী ব্যায়ামের তুলনায় অনেক বেশি কাজে দেবে। তাই শরীরচর্চা করুন নিজের শরীর বুঝে।