সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইরে বেরিয়েছেন? কিংবা অফিসে মারাত্মক ব্যস্ততা রয়েছে। এর মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে। মারাত্মক প্রস্রাবের বেগ কোনও মতে ধরে রেখেছেন। ভাবছেন, একটু পরেই হালকা হবেন। কিন্তু হালকা হওয়ার সময় আর পাচ্ছেন কই? এই চিত্র আমাদের বেশ পরিচিত। প্রস্রাব চেপে রাখার ঘটনা একটা সামান্য বিষয়। তবে কারও যদি প্রস্রাব চেপে রাখাটা অভ্যাসে দাঁড়ায়, তাহলে আগে থেকে সতর্ক হোন। জটিল রোগ আপনার পিছনেই ধাওয়া করে আসছে।
প্রস্রাব চেপে রাখলে কী কী ক্ষতি হয়?
সাধারণত সাময়িক ভাবে কেউ প্রস্রাব চেপে রাখলে কোনও সুস্থ মানুষের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, কারও যদি এটি অভ্যাসে পরিণত হয়, তাহলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মূত্রথলিতে প্রায় ২ কাপ পর্যন্ত প্রস্রাব জমা হতে পারে। সাধারণত ১-২ ঘন্টা চেপে রাখলে খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু দু'ঘন্টা বা তার বেশি প্রস্রাব ধরে রাখলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। যাদের মধ্যে এই ধরনের খারাপ অভ্যাস রয়েছে, নানারকম রোগে তারা আক্রান্ত হতে পারেন। কী কী রোগ?
২) মূত্রথলির কার্যক্ষমতা হ্রাস: প্রস্রাব ধরে রাখার কারণে মূত্রথলির পেশির ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। মূত্রথলি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। নিয়মিতভাবে বাড়তি প্রস্রাব ধরে রাখলে মূত্রথলির পেশি অতিরিক্ত প্রসারিত হতে হতে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এর ফলে মূত্রথলি সম্পূর্ণরূপে খালি হতে পারে না। একে ইউরিনারি রিটেনশন বলা হয়। ভবিষ্যতে, এর কারণে মূত্রথলিতে ব্যথা বা মূত্রত্যাগে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩) কিডনির ক্ষতি এবং সংক্রমণ: মূত্রথলির চাপ কিডনির ওপর প্রভাব ফেলে। এটি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে কিডনি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মূত্রথলি যখন অতিরিক্ত ভরে যায়, তখন প্রস্রাবের চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে কিছু প্রস্রাব মূত্রনালী দিয়ে উল্টো দিকে কিডনিতে ফেরত আসে। এতে কিডনিতে সংক্রমণ ঘটে। কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
৫) তীব্র ব্যথা: দীর্ঘদিন ধরে প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাসের কারণে ঘন ঘন মূত্রথলিতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক অস্বস্তিই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদে ক্রনিক পেলভিক পেইন বা মূত্রথলির প্রদাহজনিত ব্যথার কারণ তৈরি করতে পারে।
সতর্কতা
যাঁদের এই ধরনের অভ্যাস রয়েছে, তাঁদের উচিত প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হওয়ামাত্র বাথরুম ব্যবহার করা। বিশেষত, যেসব ব্যক্তি জল কম পান করেন এবং মাঝেমধ্যেই প্রস্রাব ধরে রাখেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ও পাথর হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
