সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের দিনে খাওয়াদাওয়ার বহর বাড়ে। অনুষ্ঠান, বিয়েবাড়ি, জন্মদিন, পিকনিক চলতেই থাকে। এই সময় সতর্ক না হলে গ্যাস-অম্বলের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যাঁরা পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তাঁদের এই সময় সমঝে চলা উচিত। নাহলেই পদে পদে বিপদ। শীতে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কমে যায়। এই কারণে অন্ত্রে রক্ত চলাচল কমে। হজমের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। অন্ত্রের স্বাভাবিক নড়াচড়া বা পেরিস্টালসিস গতি হারায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের মূল কারণ হল পেটের পেশির দুর্বলতা। কারও যদি পেটের পেশি সবল হয়, তাহলে পেরিস্টালসিস স্বাভাবিক ভাবেই তার কাজকর্ম করতে থাকে। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় না।
যাঁরা অনেকদিন ধরে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যে ভুগছেন তাঁদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এই রোগ অনেক দিনের পুরনো হলে সহজে সারতে চায় না। এক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। কী কী?
১) সহপজপাচ্য ও ছিবড়ে বিহীন খাবার খেতে হবে।
২) কোষ্ঠবদ্ধ রোগীর প্রচুর জলপান করা উচিত।
৩) শরীরের ওজন অত্যধিক হলে পেটের পেশি স্বাভাবিক ভাবেই দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
৪) কোষ্ঠকাঠিন্যে যাঁরা কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁরা রোজ রাত্রে ঘুমোবার আগে ৩/৪ চামচ ইসবগুলের ভূষি জলে ভিজিয়ে পান করুন।
৫) সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা উষ্ণ জলে এক চামচ লবন ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করে কিছুক্ষণ পায়চারি করুন। তারপর পায়খানায় যান।
কোন ৫ যোগব্যায়াম করবেন?
পেটের পেশি ও স্নায়ু শক্তিশালী হলে হজমে আর সমস্যা হয় না। পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদন্ত্রকে সক্রিয় করে তুললে স্বাভাবিক ভাবেই মল নিঃসরণ সম্ভব। এক্ষেত্রে অন্ত্রকে শক্তিশালী করতে যে ব্যায়ামগুলি করা দরকার তার তালিকা নিচে দেওয়া হল।
১) বিপরীতকরণী মুদ্রা বা সর্বাঙ্গাসন।
২) মৎস্যাসন।
৩) পদ-হস্তাসন।
৪) ভুজঙ্গাসন।
৫) হলাসন।
এই ব্যায়ামগুলি নিয়মিত ভাবে করলে পেটের পেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। পেটে রক্তচলাচল বেড়ে যাওয়ায় হজম প্রক্রিয়া মজবুত হয়ে ওঠে। তাই, শীতে যদি কেউ কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় কষ্ট পেতে থাকেন, এই নিয়মগুলি মেনে চলুন। দেখবেন চিরতরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়েছে। অবশ্য বেশি বারাবাড়ি হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
