সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটু একটু করে বাড়ছে শীতের দাপট। দুপুরবেলা বাইরে কমলালেবু রোদ আর রাত বাড়লেই শীতের হাওয়ার কামড়। এই অবস্থায় ঘরের উষ্ণতা বাড়াতে অনেকেই রুম হিটারের উপর ভরসা করেন। তা কেনার ভাবনাচিন্তাও করেন। কেউ কেউ আবার খানিক শৌখিনভাবে ফায়ার প্লেসের আগুনে ঘর গরম করতে চান। তবে বাড়িতে কৃত্রিম রুম হিটার না থাকলেও চিন্তা নেই। প্রাকৃতিক উপায়েও ঘরের উষ্ণতা বাড়াতে পারেন অনায়াসে। কীভাবে করবেন? রইল উপায়।
ঘরের জানালা দিয়ে রোদ ঢোকার সম্ভবনা থাকলে দিনের বেলা রোদ থাকা পর্যন্ত ঘরের জানালা খুলে রাখুন। এতে পর্যাপ্ত রোদ ঘরে ঢুকলে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব কেটে যায় অনেকাংশে। তবে রোদ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরের জানালা বন্ধ করে দেবেন। ব্যবহার করবেন জানালা-দরজায় মোটা পর্দা। মাথায় রাখবেন ঘরের জানালার পর্দা যত মোটা হবে তত শীতের ঠান্ডা হাওয়া কম ঢুকবে ঘরে।
চেষ্টা করুন ঘরে আসবাবপত্র রাখার। ঘর ফাঁকা রাখলে কিন্তু তা ঠান্ডা হওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি। সঙ্গে আলো জ্বেলে রাখার চেষ্টা করুন। এতে খানিক ঘর গরম থাকবে।
ঘরের মেঝেতে শীতকালে পা রাখা দায়। ঠান্ডা মেঝেকে তাই কয়েকমাস টাটা বলুন। মেঝেতে পেতে নিন পাট বা নারকেল দড়ি দিয়ে তৈরি কার্পেট বা ম্যাট। এতে ঘরের ঠান্ডা খানিক এড়ানো যাবে।
দরজা অথবা জানালায় ফাঁকা অংশ থাকলে তা দিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়া ঘরে ঢুকে অসুবিধা তৈরি করতে পারে সেক্ষেত্রে এই সমস্যা এড়াতে পুরনো খবর কাগজ ব্যবহার করতে পারেন। পুরনো খবরের কাগজ রোল করে নিয়ে দরজা-জানালার ফাঁকা অংশে আটকে দিন।
রুম হিটার ছাড়া ঘর গরম রাখতে আরও একটি বিষয় ভীষণভাবে উপকার করে তা হল দেশজ কিছু জিনিস। যেমন রাজাই, খাদি কিংবা পুরনো কাপড় দিয়ে বানানো বালাপোশ বা কম্বল খানিক শীত থেকে আরাম দিতে পারে। এই প্রতিটা জিনিস এমনভাবেই পুরনো পদ্ধতি মেনে বানান হয় যে তা শীত আটকাতে ভীষণ উপকারী। তাই রাতের ঘুমে যাতে শীতের জন্য ব্যাঘাত না ঘটে তাই রুম হিটার না থাকলেও কোনও চিন্তা নেই। ভরা শীতেও উষ্ণতা বজায় রাখুন এই পদ্ধতি অবলম্বনে।
