সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কটা দিন। বর্তমানের হিসেবনিকেশ অতীতের খাতায় তুলে রেখে চলে যাবে ২০২৪। আবার ভবিষ্যতের পথ থেকে বর্তমানের সিংহাসনে ৩৬৫ দিনের জন্য অবস্থান করবে ২০২৫। হ্যাঁ, ঠিক-ভুল মিলিয়ে কেটে গেল গোটা একটা বছর। ঠিক তো ঠিকঠাকই থাকে। কিন্তু ভুল? যে ভুলগুলোর জন্য এই বছর আফশোস করেছেন তা কি আর আগামী বছর করবেন? কেউ ইচ্ছে করে তা করতে চায় না। তাই নিজেকে আবার সুযোগ দিন। ২০২৫ সালে সৌভাগ্যের সন্ধানে অবশ্যই মেনে চলুন এই বাস্তু টিপস।
বসার ঘরে কি পরিবারের সকলের ছবি আছে? নিদেনপক্ষে গ্রুপ ফটো! না থাকলে টাঙিয়ে ফেলুন। সংসারে সংহতির জন্য এ জিনিস জরুরি। এমনটাই মত বাস্তু বিশেষজ্ঞদের।
বাড়ির ঠাকুরঘর কি কোনওভাবে বাথরুমের কাছাকাছি? তবে দূরত্ব বাড়িয়ে ফেলাই বিধেয়।
ঘরে কি অ্যাকোয়ারিয়াম আছে? তাহলে দেখুন সেটি উত্তর-পূর্ব কোণে আছে কি না? যদি না থাকে তবে সেই জায়গায় রাখুন। নটি গোল্ড ফিশ ও একটি ব্ল্যাক ফিশ রাখা মঙ্গলজনক।
পড়াশোনার সময় সন্তান কোন দিকে মুখ করে বসে? খেয়াল রাখুন যাতে সে পূর্বমুখো হয়ে বসে। পড়াশোনায় মনযোগী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে এটি জরুরি। আর পুজো করার সময় আপনিও উত্তর-পূর্বমুখী হয়েই বসুন।
ঘরের সদর দরজা খুলেই কি ডাইনিং রুম চোখে পড়ে? এমনটা না হওয়াই ভালো। একান্ত হলে কোনও একটা আড়াল টানার চেষ্টা করুন।
পচা খাবার, শুকনো ফুল, ছেঁড়া কাপড়, বাতিল কাগজপত্র, কৌটো এসব ঘরের মধ্যে জমা না করে রাখাই ভালো। বলা হয়, এতে নাকি দেবী লক্ষ্মী প্রবেশে বাধা পান।
ঘরের আশেপাশে কি গাছ আছে? খেয়াল রাখুন কলাগাছ বা পিপুলের ছায়া যেন আপনার বাড়ি বা জানালায় না পড়ে।
ঘরে কি তুলসী গাছ আছে? না থাকলে ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণ দেখে একটি তুলসীর টব বসান। তুলসীর থেকে উপকারী ও পবিত্র গাছ আর কী আছে!
ঘরের আসবাবগুলো কি ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে, যেমন তেমন করে আছে? তাহলে আজই গোছানো শুরু করুন। চেষ্টা করুন যাতে চতুষ্কোণ বা বৃত্তাকার ফর্মে আসে।
রান্নাঘরে কোনও আয়না রাখবেন না। ঘরের কোণগুলি যদি অন্ধকার হয়ে থাকে তবে আলোর ব্যবস্থা করুন। সদর দরজার সামনেও উজ্জ্বল আলো রাখবেন।
বেডরুমে টিভি না রাখাই ভালো। লিভিং রুমেই জায়গা হোক টিভির। সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব কোণে রাখারই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘরে যদি পেন্টিং রাখেন তবে হতাশাজানক, যেমন কান্নার চিত্র রাখবেন না। বরং সূর্যোদয় বা ওই জাতীয় কিছু রাখতে পারেন। যাতে একটা পজিটিভিটি থাকে।
এবারে এই কাজগুলো করলে কি সত্যিই সৌভাগ্য আসবে? আসলে এরকম কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে প্রত্যেকটা পরামর্শের পিছনেই কিছু না কিছু বাস্তব যুক্তি আছে। খেয়াল করলেই তা বোঝা যায়। কোনওটা হয়তো পরিচ্ছন্নতার কথা বলছে, কোনওটা বা অন্ধকারে বিপদে না পড়ার কথা বলছে। অর্থাৎ এগুলো মানলে সাধারণ বিপদ আপদ থেকে রেহাই তো পাওয়া যায়। তাই সৌভাগ্যের সন্ধানে কিছু টিপস মানতে আপত্তি কীসের!