সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামে জেলখানা, তবে বাস্তবে তা যেন নাইট ক্লাব। বিদেশি মদ ও স্ন্যাক্সের সঙ্গে জেলের ভেতর চলছে হুল্লোড়, নাচ-গান। বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল জেলের সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশে সাসপেন্ড করা হল দুই পুলিশ আধিকারিককে। পাশাপাশি বদলি করা হয়েছে আর এক আধিকারিককে।
বেঙ্গালুরুর পারাপ্পানা অগ্রহার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের একটি ভিডিও সম্প্রতি সাড়া ফেলে দেয় গোটা দেশে। যেখানে দেখা যায়, যাবজ্জীবন, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত অপরাধীরা জেলের মধ্যে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। জেলে মোবাইল ফোন, টেলিভিশন দেখার তো বটেই এমনকী মিউজিক সিস্টেম চালিয়ে মদ খেয়ে পার্টি করছে ধর্ষক এবং খুনিরা। এই ভিডিও সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে জেলগুলির পরিস্থিতি নিয়ে। জেলখানার আভ্যন্তরিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গঙ্গাধরাইয়া পরমেশ্বরের নির্দেশে একটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে বরখাস্ত করা হয়েছে জেলের সুপারিনটেন্ডেন্ট মাইগেরি ও সহকারি সুপারিনটেন্ডেন্ট অশোককে। পাশাপাশি বদলি করা হয়েছে প্রধান কারা সুপার কে সুরেশকে।
রবিবার সোশাল মিডিয়ায় ৫টি ভিডিও সামনে আসে। যেখানে কোথাও দেখা যায় বন্দিরা নাচ করছে তো কোথাও মদ্যপান করছে। অপরাধীদের হাতে রয়েছে মোবাইল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরমেশ্বর বলেন, ৫টি ভিডিওর মধ্যে ৩টি ২০২৩ সালের ও দুটি চলতি বছরের। ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতি ১৫ দিন অন্তর সিসিটিভি ফুটেজ অডিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কারাগার পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিশেষ কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে একমাসের মধ্যে যেন রিপোর্ট পেশ করা হয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই কমিটিতে শীর্ষে রয়েছেন এডিজিপি (আইন, শৃঙ্খলা) হিতেন্দ্র নাথ।
