সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে ক্রমশ বেড়েই চলেছে শিশু অপহরণ, নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা। বুধবার মধ্যপ্রদেশের মরিনা জেলায় চার বছরের শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর দিনই রেওয়া জেলায় আরও এক ৫ বছরের শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।
দু’টি পৃথক ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত। মরিনা জেলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছ’মাসের কারাবন্দি কয়েদি।যার বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি অভিযুক্ত জেল থেকে জামিনে মুক্তি পায়। এরপর ফের কুকীর্তির ফন্দি আঁটে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল মরিনা জেলার চার বছরের এক শিশু। তার মা-বাবা অন্য রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করায় গ্রামে নিজের দাদু-দিদার সঙ্গে থাকত সে। নিখোঁজ হওয়ার পর বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে শিশুর দেহ সর্ষে খেত থেকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র ধরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। জানা গিয়েছে, শিশুটিকে চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। সবলগড় থানার ইনচার্জ নরেন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, পকসো (POCSO) ধারায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় শুক্রবার নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের দলীয় তহবিলে ‘বিদ্রোহী’ কপিল সিব্বল দিলেন ৩ কোটি, রাহুল মাত্র ৫৪ হাজার]
অন্যদিকে, মরিনা জেলা থেকে ৫০০ কিমি দূরে রেওয়া জেলার নাই গরহি এলাকায় ধর্ষিত ৫ বছরের এক শিশু আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন সঞ্জয় গান্ধী মেডিক্যাল কলেজে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্ত প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসেও ১৩ বছরের দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটে মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া ও খাণ্ডয়া জেলায়। দুটি ঘটনাতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই অপরাধের প্রবণতা কমছে না। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।