সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকুম্ভ শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এ যেন দেবভূমি ভারতের ধর্ম ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র। সাধু-সন্তদের পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ মানুষ একত্রিত হয়েছেন প্রয়াগরাজের পুণ্যভূমিতে। যেখানে ভারত তো বিদেশ থেকে আগত পুণ্যার্থীর সংখ্যাও কম নয়। এহেন জনসমুদ্রের মাঝে আলাদা করে নজর কেড়ে নিলেন ৭ ফুট দীর্ঘ রাশিয়ান সাধু আত্মা প্রেমগিরি মহারাজ। মহাকুম্ভে যার অন্য পরিচিতি 'মাসকুলার বাবা'।
জানা যাচ্ছে, ৩০ বছর আগে শিক্ষকতা ছেড়ে আধ্যাত্মিকতার পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রেমগিরি। তখনই রাশিয়া থেকে চলে আসেন ভারতে। এ দেশে এসে হিন্দু ধর্মে দীক্ষা নেন তিনি। এরপর থেকে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সাধনা করে চলেছেন তিনি। বর্তমানে হিন্দু ধর্মের মিলনক্ষেত্রে মহাকুম্ভে তাঁর নজরকাড়া উপস্থিতি। একমুখ দাড়ি-গোঁফ, পরনে গেরুয়া বস্ত্র ও রুদ্রাক্ষ। ৭ ফুট দীর্ঘদেহী এই সাধুর পেশিবহুল চেয়ারার জন্য ভক্তরা তাঁর নামকরণ করেছেন মাসকুলার বাবা। অনেকে আবার তাঁকে কলিযুগের পরশুরাম বলেও ডাকছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, হিন্দু ধর্মে আকৃষ্ট হয়ে রাশিয়া থেকে নেপালে চলে আসেন তিনি। সেখানে সেখানে জুনা আখাড়া নামে এক হিন্দু সন্ন্যাসীদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। সেখানে দীক্ষা নেওয়ার পর তাঁর নয়া নাম হয় আত্মা প্রেমগিরি মহারাজ। মহাকুম্ভে এই দীর্ঘদেহী সাধুর ধর্ষণ পেতে রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন ভক্তরা। সোশাল মিডিয়াতেও ব্যপকভাবে ভাইরাল হয়েছে এই সাধুর ছবি।
তবে শুধু প্রেমগিরি নন সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে চর্চায় উঠে এসেছেন আর এক সন্ন্যাসী হরিয়ানার বাসিন্দা অভয় সিং। তিনি ছিলেন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। আর এখন সব মায়া কাটিয়ে মানসিক শান্তির খোঁজে কুম্ভে ঘুরছেন এই ‘আইআইটি বাবা’। নিশ্চিত ভবিষ্যৎ ছেড়ে মহাকুম্ভে ঘোরার ছবি এখন ভাইরাল। সাধু হওয়ার পর তাঁর নাম হয়েছে মাসানি গোরখ।