সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৭ দিনের মাথায় তৃতীয় মৃত্যু! ফের রাজস্থানের কোটার আম্বেদকর কলোনির এক মেস থেকে উদ্ধার তরুণের দেহ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পড়ুয়া নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই ঘটনার পর ফের পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রাশসনিক নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম অভিজিৎ গিরি। বয়স ১৮ বছর। তিনি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাসিন্দা। গত বছরের এপ্রিল মাসে নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোটায় আসেন। বিজ্ঞান নগরী থানা এলাকার একটি মেস বাড়িতে থাকছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে অভিজিতের ঘরে খাবার দিতে যান মেসের এক কর্মী। বিস্তর ডাকাডাকির পরও পড়ুয়ার কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে আরও দুজনকে ডাকেন ওই কর্মী। ২-৩ জন মিলে ঘরের দরজা ভেঙে অভিজিৎকে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে পরিবারকেও।
তবে অভিজিৎ কেন আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়নি। পড়ুয়া মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা তা বন্ধু ও পরিবারের লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তাকারীরা।
কোটায় পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনা রুখতে হস্টেলগুলির ফ্যানে অ্যান্টি-সুইসাইড ডিভাইস লাগানোর নির্দেশ জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। তবে এই মেস বাড়ির ফ্যানে সেই যন্ত্র লাগনো ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। এই নিয়ে বছরের শুরুতেই তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। যা নিয়ে ফের উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনিক মহলে।