shono
Advertisement

মোদিও বলেছিলেন, ‘বেটি পটাও’, বিজেপি নেতাদের বেফাঁস মন্তব্যই রাষ্ট্রপতি বিতর্কে হাতিয়ার অধীরের

জাতীয় মহিলা কমিশনের দাবি, অধীরকে তাঁর মন্তব্যের জন্য লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
Posted: 12:52 PM Jul 29, 2022Updated: 03:10 PM Jul 29, 2022

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ ঘিরে বিতর্কে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। এই ইস্যুতে অধীর ও কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে, দাবি বিজেপির। এই অবস্থায় গেরুয়া শিবিরকে পালটা দিতে তৈরি অধীর শিবির। জানা গিয়েছে, অতীতে বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি-সহ বিজেপি নেতানেত্রীদের করা বেফাঁস মন্তব্যগুলিকে উদাহরণ হিসেবে প্রয়োগ করতে চাইছেন অধীররা। যার মধ্যে অন্যতম মোদির করা ‘বেটি পটাও’ মন্তব্য। অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতি করা বিজেপি নেতাদের অসম্মানজনক মন্তব্যগুলিও একত্র করা হচ্ছে।

Advertisement

এদিকে জাতীয় মহিলা কমিশন দাবি করেছে, অধীরকে তাঁর মন্তব্যের জন্য লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, কংগ্রেস নেতা এখনও কমিশনের চিঠি হাতে পাননি। এমনও জানা যাচ্ছে, উন্নাও, হাথরসের মতো ঘটনায় মহিলা কমিশনের ভূমিকা কী ছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্যও জোগাড় করছেন অধীর-ঘনিষ্ঠরা। মনে করা হচ্ছে, মহিলা কমিশন থেকে বিজেপি- দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে করা অধীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে পালটা দিতেই এই সব তথ্য হাতে রাখতে চাইছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: SSC Scam: কী হবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকার?]

অধীর শিবিরের আরও দাবি, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সোনিয়া গান্ধী তিনবার ফোন করেছিলেন অধীরকে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী নাকি বারবার অধীরকে বলেছেন, ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই। এমনটাই দাবি অধীরের। উল্লেখ্য, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় অধীরকে নাকি বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি অনাথ নই। সোনিয়া গান্ধী আমার অভিভাবকের মতো।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যু থেকে নজর সরাতেই বিজেপি এই বিষয়টি নিয়ে হইহই শুরু করেছে।

বুধবার সোনিয়া গান্ধীকে ইডির জেরার প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস (Congress) সাংসদরা। সেসময় এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অধীর দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) রাষ্ট্রপতি না বলে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলে বসেন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ফুঁসে ওঠে বিজেপি। আসরে নেমে যান স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, “সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) দেশের সর্বোচ্চ আইনসভায় একজন মহিলাকে এভাবে অপমানিত হতে দিলেন। তিনি আদিবাসী বিরোধী, দলিত বিরোধী এবং নারী বিদ্বেষী।”

[আরও পড়ুন: ‘বলির পাঁঠা পার্থ’, প্রতিক্রিয়া সুকান্তর, ‘অপসারণ করেই দায় এড়ানো যায় না’, বলছে সিপিএম]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement