সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনশো বছরের পুরনো বাজার। ভোর থেকে প্রায় বিকাল পর্যন্ত ভিড়ে গমগম করে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সম্পূর্ণ অন্য দৃশ্য দেখল দিল্লির চাঁদনি চক মার্কেট। নেই রোজকার ভিড়, নেই চেনা কোলাহল, নেই খদ্দের-বিক্রেতার রোজকার আকচাআকচি। দিল্লির চাঁদনি চক মার্কেট কার্যত জনশূন্য। দোকানপাট টুকটাক খুলেছে বটে। কিন্তু কিনবে কে? খদ্দেররা সব আতঙ্কে গৃহবন্দি।
দিল্লির চাঁদনি চক মার্কেট দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। প্রতিদিন আনুমানিক ৪ মানুষের পা পড়ে এই বাজারে। সব মিলিয়ে দৈনিক ৪৫০-৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয় এই বাজারে। কিন্তু সোমবার সন্ধেয় দিল্লির লালকেল্লার পাশের বিস্ফোরণ ছবিটা বদলে দিয়েছে। আতঙ্কে ঘরবন্দি দিল্লিবাসী। পুলিশের কড়া নিরাপত্তা, নাকা তল্লাশির জেরে ভিনরাজ্যের ব্যবসায়ীরাও চাঁদনি চক মার্কেটে যেতে ভয় পাচ্ছেন। যার ফলে ব্যবসা কার্যত বন্ধ। যার ফলে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।
এই বিয়ের মরশুমে চাঁদনি চকে বেচাকেনা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু এর মাঝেই বিস্ফোরণ রীতিমতো ধাক্কা দিল ব্যবসায়ীদের। চাঁদনি চকের বিজেপি সাংসদ প্রবীণ খাণ্ডেলওয়াল বলছেন, "চাঁদনি বাজারে ব্যবসা কার্যত বন্ধ। এতে অন্তত ৩০০-৪০০ কোটি টাকার লোকসান হবে।"
সোমবার দিল্লিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গি হামলা হিসেবে ঘোষণা না করা হলেও তদন্তের গতিপথ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। সূত্রের খবর, হামলার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। যদিও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও পর্যন্ত হামলার দায়স্বীকার করেনি। তবে রাজধানীর বুকে যে জঙ্গিহানাই হয়েছে, সেটা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কথাতেও সেই একই ইঙ্গিত মিলেছে।
