রোহিঙ্গাদের ফ্ল্যাট মোদি সরকারের, ‘পাক হিন্দু উদ্বাস্তুদের কী হবে’, তোপ VHP-র

04:45 PM Aug 17, 2022 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। বুধবার এমনটাই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। আর এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Advertisement

মায়ানমারে সেনা অভিযানের পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গাদের একাংশ। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, খোদ রাজধানী দিল্লিতেই রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী। বিগত দিনে রোহিঙ্গা ‘অনুপ্রবেশকারী’দের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। মানবিকতার খাতিরে ওই শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার দাবি তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ঘোষণা করেছেন যে দিল্লিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিনি লেখেন, “আশ্রয়প্রার্থীদের সবসময় স্বাগত জানিয়েছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের নিয়ম মেনেই রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র ও নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তাদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় অবসনে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।” এদিকে, পালটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফ্ল্যাট দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ! দেশকে ‘এক নম্বর’ করতে প্রকল্প আনলেন কেজরিওয়াল]

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ১৯৫১ সালের রাষ্ট্রসংঘের রিফিউজি কনভেনশনের অংশ নয় ভারত। ওই চুক্তিতে সই করেনি নয়াদিল্লি। কিন্তু, এদিন হরদিপ সিং পুরীর মুখে কনভেনশনের নিয়ম মেনেই রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র ও নিরাপত্তা দেওয়ার ‘সরকার বিরোধী’ অবস্থানে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) মাধ্যমে ‘হিন্দু বাঁচাও’ অভিযান শুরু করলেও রোহিঙ্গাদের নিয়ে এত সদয় কেন মোদি সরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের মন পেতে সচেষ্ট বিজেপি। তাই রোহিঙ্গাদের আবাসন দিয়ে কিছুটা হলেও ‘সাম্প্রদায়িক তকমা ঝেড়ে ফেলর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। একইসঙ্গে, নূপুর শর্মাকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কের পর মুসলিম দেশগুলিকে ‘তুষ্ট’ করতেও এই পদক্ষেপ করা হয়ে থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মায়ানমারে সেন অভিযানের মুখে দেশটি থেকে পালিয়ে ভারত ও বংলাদেশে ঢুকে পড়ে বহু রোহিঙ্গা শরণার্থী। তারপরে লাগাতর পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ করলেও জম্মু, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের মতো শহরে গিয়ে বেনামে গা-ঢাকা দিত রোহিঙ্গারা। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসেরও চেষ্টা করেছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। সবমিলিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা।

[আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ! দেশকে ‘এক নম্বর’ করতে প্রকল্প আনলেন কেজরিওয়াল]

Advertisement
Next