গোবিন্দ রায়: ভারতীয় সেনায় পাক গুপ্তচর, এমনই অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই মামলার তদন্তে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। মামলা লঘু করার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। আবেদনকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
ভারতীয় সেনায় একটি বড়সড় চক্র কাজ করছে। চক্রের কাজ হল, নাগরিকত্ব-সহ যাবতীয় নথি জাল করে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতীয় সেনায় নিয়োগ পাইয়ে দেওয়া। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালে প্রথমে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মঙ্গলবার বিচারপতি ঘোষের এজলাসে বিষ্ণু চৌধুরির অভিযোগ, “সিবিআই তদন্তকারী দলের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক ইমরান এই মামলায় মূল অভিযুক্ত মহেশ চৌধুরীর কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে মামলাটি খাটো করে দেখাতে চাইছেন।”
এই মহেশ চৌধুরীই ভুয়া ডোমিসাইল সার্টিফিকেট তৈরি করে ভারতীয় সেনায় পাক গুপ্তচর নিয়োগ করত বলে অভিযোগ বিষ্ণুর। এজলাসে মামলাকারীর আরও অভিযোগ, এই চক্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলায় তাঁকে প্রতিনিয়ত প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যে কোনও দিন তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন। মমালাকারীর যাবতীয় অভিযোগ শোনার পর আপাতত সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি, হুগলির মগরা থানাকে মামলাকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিক প্রদীপ ত্রিপাঠী। আদালতে ও তাঁর কাছে যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।