প্রত্যাশা আর বাস্তবের আকাশপাতাল ফারাক! কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষা নিয়ে বিস্ফোরক অমিত মিত্র

08:48 PM Jan 31, 2023 |
Advertisement

গৌতম ব্রহ্ম: আর্থিক সমীক্ষার চমকপ্রদ সংখ্যাতত্ত্বের সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের ঠিক আগের দিন কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় যা যা দাবি করা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাস্তবের মাটিতে তাঁর প্রতিফলন দেখা যায় না।

Advertisement

এবছর কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৫ শতাংশ। আর্থিক সমীক্ষায় (Economic Survey) আরও দাবি করা হয়েছে, অমৃতকালে প্রবেশ করার আগে আমাদের অর্থনীতির সবকটা প্যারামিটার যথেষ্ট শক্তিশালী জায়গায়। বিশ্বব্যাপী মন্দার বিশেষ প্রভাব ভারতের অর্থনীতিতে পড়ছে না। ভারতের নিজস্ব বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা বেশ স্বস্তিদায়ক জায়গায়। এখনও অধিকাংশ এজেন্সিই ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম গুরত্বপূর্ণ অর্থনীতি হিসাবে চিহ্নিত করছে। আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank) যৌথ উদ্যোগে এই মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

[আরও পড়ুন: শেয়ারে বিপুল ধসের ধাক্কা, বিশ্বের ধনীর তালিকায় প্রথম ১০ থেকে ছিটকে গেলেন গৌতম আদানি]

কিন্তু এই আর্থিক সমীক্ষাগুলি যে একেবারেই নিখুঁত হয় নয়, ছোট্ট কয়েকটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের উদাহরণ তুলে বলছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের আর্থিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল চলতি বছর জিডিপি বাড়বে ৯.২ শতাংশ হারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সেটা হয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। অর্থাৎ প্রত্যাশা এবং বাস্তবের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। একইভাবে বেকারত্বের হারের ক্ষেত্রেও এই পার্থক্য চোখে পড়েছে। ২০২০-২১ সালে দাবি করা হয়েছিল বেকারত্বের হার থাকবে ৪.২ শতাংশ। কিন্তু ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেখা গেল সেটা ৮.৩ শতাংশ। একইভাবে বাণিজ্য ঘাটতিতেও কেন্দ্রের প্রত্যাশা যে একেবারেই পূরণ হয়নি, সেটাও পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করেছেন অমিত মিত্র।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: শিষ্যাকে ধর্ষণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর, দিতে হবে জরিমানাও]

রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলছেন সরকার আজ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ করছে দেশে বিনিয়োগ করার জন্য। যার অর্থ দেশে বিনিয়োগ কমছে। সরকার যা প্রত্যাশা করেছিল, বিনিয়োগের সেই প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না।

Advertisement
Next