সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিনেতা সইফ আলি খানের উপরে হওয়া হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য মুম্বইয়ে। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দাবি করলেন, মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। তাঁকে পালটা দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।
দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''একজন গ্যাংস্টার গুজরাটের জেলে বসে রয়েছে নির্ভয়ে। মনে হচ্ছে তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এটা সত্যিই উদ্বেগজনক যে একজন বড় অভিনেতা, যিনি একটি নিরাপদ স্থানে থাকতেন তাঁকেও নিজের বাড়িতে আক্রান্ত হতে হল। এটাই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। এর আগে সলমন খানের উপরে হামলা হয়েছিল। বাবা সিদ্দিকিকে খুন হতে হয়। যদি সরকার বড় সেলেবদেরই সুরক্ষা দিতে না পারে, তাহলে সাধারণ মানুষদের কী হবে? এই ডবল ইঞ্জিন না দিতে পারে সঠিক প্রশাসন না দিতে পারে সুরক্ষা।''
এরপরই কেজরিকে খোঁচা দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তিনি বলেন, ''মুম্বই সবচেয়ে নিরাপদ। একটা ঘটনার নিরিখে বলে দেওয়া যায় না যে মুম্বই নিরাপদ নয়।'' কেজরিকে আক্রমণ করেছেন দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব। তিনি ঝাঁজালো সুরে বলেছেন, ''কীসের ভিত্তিতে এমন কথা বলছেন কেজরিওয়াল? প্রথমে দিল্লির দিকে দেখুন, যেখানে আপনি ক্ষমতায়। আর জবাব দিন আপনার নোংরা কাজের।''
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ডাকাতির উদ্দেশে বলিউডের ‘নবাবে’র বান্দ্রার বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতী। বাড়িতে ঢুকে পড়ার পর পরিচারক তাকে দেখে ফেলেন। পরিচারকের সঙ্গে বচসা চলাকালীন সইফ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। অভিনেতা ওই দুষ্কৃতীতে বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দুষ্কৃতীর কাছে ধারালো ছুরি ছিল। পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে সইফ নিরস্ত্র অবস্থায় দুষ্কৃতীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ধস্তাধস্তির মধ্যে সইফকে একাধিকবার ছুরির আঘাত করে সে। দ্রুত অভিনেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পিঠে অস্ত্রোপচারও করা হয়েছে। আপাতত তিনি আইসিইউয়ে থাকলেও তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।