shono
Advertisement

ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে ২২, নিখোঁজ বেশ কয়েকজন

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছত্তিশগড় যাচ্ছেন সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল।
Posted: 01:17 PM Apr 04, 2021Updated: 09:35 PM Apr 04, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh)  মাওবাদী-যৌথ বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২২ জন জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। নিখোঁজ আরও বেশ কয়েকজন। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ শুরু হয় সংঘর্ষ। চলে অন্তত ৩ ঘণ্টা। প্রথমে ৫ জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পরে তা বেড়ে ২২ জনে পৌঁছে যায়। আজ রবিবার ছত্তিশগড় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে একথা। জওয়ানদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আজ অমিত শাহ অসম সফর কাটছাঁট করে দিল্লি ফিরেছেন। জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আরএসএসের মতোই বিচ্ছিন্নতাবাদী বামেরা! কেরল থেকে বাংলার জোটসঙ্গীদের তোপ রাহুলের]

শনিবার সকালে ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে নিরাপত্তা কর্মীদের একাধিক বাহিনী। ছত্তিশগড়ের ডিরেক্টর জেনারেল (নকশাল অভিযান) অফ পুলিশ অশোক জুনেজা বলেন, “গতকাল সংঘর্ষে ৫ জন মারা গিয়েছিলেন। আজ মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।”

শনিবার বিজাপুর ও সুকমার মাঝে দক্ষিণ বস্তারের জঙ্গলে মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযানে নামেন ২ হাজারের বেশি জওয়ান। জঙ্গলের ভিতর মাওবাদীদের সঙ্গে মুখোমুখি হতেই গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায়। প্রায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে গুলির লড়াই। মাওবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হয় জওয়ানদের। নিখোঁজ জওয়ানদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতেও বেশ কয়েক জন মাওবাদীদের মৃত্যু হয়। তবে সে সংখ্যাটা জানা যায়নি।

আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলার সঙ্গে কথা বলেন। পরিস্থিতির সম্পর্কে খোঁজ নেন। অমিত শাহ সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল কুলদীপ সিংকে ছত্তিশগড় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বলেন। শাহ ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতি নিয়ে টুইটও করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল সন্ধ্যাতেই টুইট করেন। তিনি লেখেন, “এই বীর জওয়ানদের বলিদান কখনও ভোলা যাবে না।” আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ১০ দিন ধরেই গোয়েন্দারা খবর পাচ্ছিলেন ওই এলাকায় কোথাও লুকিয়ে রয়েছেন শীর্ষ মাওবাদী নেত্রী মাধবী হিদমা। মাধবী ২০১৩ সালের ঝিরম ঘাঁটি হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছত্তিশগড় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা-সহ ৩০ জন মারা যান সেই মাওবাদী হামলায়।

[আরও পড়ুন: পায়েলের প্রচারে হামলার অভিযোগ, ঠাকুরপুকুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের]

এই হালমায় শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহত জওয়ানদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement