সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে আইইডি বিস্ফোরণ, ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক, একের পর এক জেহাদি ডাক্তার। এই সবকিছুর সঙ্গে যোগ মিলেছে ফরিদাবাদের কুখ্যাত আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের। জঙ্গি তৈরির এই কারখানাই বুলডোজারের নিশানায়। বেআইনিভাবে জমি অধিগ্রহণ ও অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ।
দিল্লিতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত জঙ্গি চিকিৎসকদের বেশিরভাগেরই যোগ মিলেছে হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের। ইউএপিএ ধারায় ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্ত করছে এনআইএ। এর পাশাপাশি নজরে এসেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত ব্যাপক কারচুপির তথ্য। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ৮০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই বিশ্ববিদ্যালয় বেআইনিভাবে শুধুমাত্র সরকারি ও গ্রামীণ রাস্তাই দখল করেনি, বরং বেআইনিভাবে একের পর এক নির্মাণকাজ চালিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি পরিমাপের সময় এই দখলদারির বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদকে দুটি সমন পাঠানো হলেও কোনও প্রত্যুত্তর আসেনি। ইউজিসির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, জালিয়াতি এবং অনিয়মের দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযোগগুলির মধ্যে আর্থিক কারচুপিও অন্তর্ভুক্ত। যার তদন্ত করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের প্রমাণ মিললে নিয়ম মেনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে বেআইনি নির্মাণগুলি।
এদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ১৯৯০ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর বাড়ানোর কাজ শুরু হয়। সেই সময়ে যিনি আচার্য পদে ছিলেন তিনি কার্যত গায়ের জোরে। গ্রামবাসীদের চলাচলের একাধিক রাস্তা দখল করে নেন। যার জেরে কৃষকরা নিজের জমিতে যেতে সমস্যার মুখে পড়েন। শুরুতে ৩০ একর জমিতে তৈরি হয়েছিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। পরে আশেপাশের জমি কিনে একাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়। তখন সরকারি রাস্তা দখল করে এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
