সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল সুভাষের আত্মহত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়াকে নোটিস পাঠাল বেঙ্গালুরুর পুলিশ। তিনদিনের মধ্যে থানায় হাজির হয়ে তাঁকে বিবৃতি রেকর্ড করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নিকিতার মা ও ভাইকেও পুলিশের কাছে বিবৃতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর একটি আবাসন থেকে অতুলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে উদ্ধার হয় ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট। যেখানে স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, শাশুড়ি নিশা সিংহানিয়া, শ্যালক অনুরাগ-সহ স্ত্রীর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন যুবক। প্রতিটি পাতায় লেখা, 'বিচার এখনও বাকি!' মৃত্যুর আগে ৮০ মিনিটের একটি ভিডিও রেকর্ড করেন অতুল। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'বিচার না মেলা পর্যন্ত তোমরা যেন আমার অস্থি বিসর্জন কোরো না!'
দাবি, স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যরা অতুলের বিরুদ্ধে একাধিক ‘মিথ্যে’ অভিযোগ করেছিলেন। এরপর পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলার রায় যুবকের বিপক্ষেই গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই চাপের মুখেই আত্মহননের পথ বেছে নেন যুবক। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গোটা দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৪৯৮এ ধারার অপব্যবহার এবং খোরপোশের অধিকার নিয়ে। জানা গিয়েছে, যদিও অতুলের স্ত্রী বড় চাকরি করেন, তবুও মামলার জেরে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে হত। এই বিতর্কের মধ্যেই খোরপোশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবার থেকে নির্দিষ্ট ৮টি বিষয় বিবেচনা করে তবেই খোরপোশ নির্ধারিত করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এবার অতুলের স্ত্রীকে নোটিস পাঠাল পুলিশ।