shono
Advertisement

কোভ্যাক্সসিনের ট্রায়ালে যাওয়ার ১০ দিন পরেই মৃত ভোপালের ব্যক্তি, বিষক্রিয়া বলছে সরকার

বিষয়টি নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
Posted: 05:35 PM Jan 09, 2021Updated: 05:40 PM Jan 09, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই করোনা মোকাবিলায় কোভ্যাক্সসিন ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতে। দেশজুড়ে ড্রাই রানও চলছে এখন। এর মধ্যেই খবর পাওয়া গেল কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার ১০ দিন পরেই মৃত্যু হয়েছে ভোপালের এক ব্যক্তির। মৃতের নাম দীপক মারাভি। যদিও মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের তরফে ওই ব্যক্তি বিষক্রিয়ার কারণে মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ ভোপালের (Bhopal) একটি বেসরকারি হাসপাতালে হওয়া কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন ৪২ বছরের দীপক। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ও কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা ভারত বায়োটেককেও জানায় দীপকের পরিবার। যদিও ময়নাতদন্তের পরে মধ্যপ্রদেশ মেডিকো লিগাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা ডা. অশোক শর্মা দাবি করেন, চিকিৎসকরা মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে বিষক্রিয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করছেন।

[আরও পড়ুন: ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু করোনার টিকাকরণ, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের ]

একই সুর শোনা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. প্রভুরাম চৌধুরীর গলাতেও। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝা যাওয়ার কথা। কিন্তু, ওই ব্যক্তির শরীরে ২৪ কিংবা ৪৮ ঘণ্টা পরেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বিষক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’

যদিও তাঁর এই বক্তব্যের পরেই মানুষের মনে সন্দেহ কাটছে না বলে বুঝতে পেরেছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। আর তাই এই ঘটনাটিকে স্পর্শকাতর বিষয় বলে জানিয়ে এর ভিত্তিতে ভ্যাকসিন সম্পর্কে কোনও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘মৃতদেহের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে অযথা যাতে কোনও গুজব না ছড়ানো হয় তার দিকে লক্ষ্য রাখতে। কারণ এর ফলে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ ব্যাহত হবে। আশাকরি মৃতদেহের রিপোর্ট এলে সত্যিটা সামনে আসবে। তবে আমি বিশ্বাস করি যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হত তা ২৪ ঘণ্টা বা ২-৩ দিনেই বোঝা যেত। এত দিন লাগত না।’

[আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি পেল দেশীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement