সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে ২৪৩ আসনের ভোট গণনা চলছে। 'হাত'-কে ডুবিয়ে ফের ক্ষমতার দোরগোড়ায় এনডিএ। বিহারের গণনায় শুধু আরজেডি নয় ধরাশায়ী লালু যাদবের পুরো পরিবার। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু তৃতীয় স্থানে রয়েছেন লালুর বড় ছেলে তেজ প্রতাপ।
গণনায় দেখা গিয়েছে, তেজ প্রতাপ এই আসনে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। এই আসনে ৪৪ হাজার ৯৯৭ ভোটে জিতেছেন চিরাগ পাসোয়ানের প্রার্থী সঞ্জয় কুমার সিং। দ্বিতীয় স্থানে আরজেডি-র বিধায়ক মুকেশ রৌশন। মুকেশ এখনও পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬৪৪ ভোট। অন্যদিকে এআইএমআইএম-এর অমিত কুমার পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৯ ভোট। তেজ প্রতাপ পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭০৩ ভোট। প্রায় ৫১ হাজার ৯৩৮ ভোটে হেরেছেন তিনি।
গণনায় দেখা গিয়েছে এনডিএ ২০২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। এই সংখ্যা প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় অনেক বেশি। অন্যদিকে মহাগটবন্ধন মাত্র ৩৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হল মহুয়া। দল থেকে বিতাড়িত লালুর বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবের দল জনশক্তি জনতা দল (জেজেডি), এনডিএ-এর লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। অর্থাৎ এই আসনে সরাসরি লড়াইয়ে ছিল লালুপুত্রেরা।
উল্লেখ্য, বিহার নির্বাচনের আগে একেরপর এক ঘটনায় খবরের শিরোনামে থেকেছেন তেজ প্রতাপ। একটা সময় ভাই তেজস্বীর সঙ্গে দলের 'দখল' নিয়ে দ্বন্দ্বও ছিল তাঁর। কিন্তু লালুর আশীর্বাদ বরাবরই ছিল তেজস্বী যাদবের দিকে। ভাইয়ের কাছে পরাজিত হয়ে তেজপ্রতাপ মূল সংগঠন থেকে দূরে সরে যান। এরপরেই, এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে জড়ান তেজপ্রতাপ। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে দাবি করা হয়, তিনি ১২ বছর ধরে এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। প্রোফাইলে ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ স্টেটাস দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই পোস্ট মুছে ফেলা হয় এবং তেজপ্রতাপ দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করা হয়েছিল। তারপরই লালু বিস্ফোরক বয়ানে ছেলেকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন।
বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে নয়া দল গঠন করে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন তেজপ্রতাপ। ২৪৩ আসনের বিহারে মোট ৪৪টি আসনে প্রার্থী দেন তিনি। নিজেও দাঁড়িয়েছেন ভিভিআইপি মহুয়া কেন্দ্র থেকে। নিজের জয়ের বিষয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তেজপ্রতাপ বলেন, "আমি মহুয়ার মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছি। ফলে তাঁরা যে আমায় আশীর্বাদ করবেন সে বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।" যদিও, দেখা গেল পরিবার থেকে শুরু করে রাজনীতির ময়দান, কোথাওই পায়ের তলায় জমি শক্ত করতে পারেননি তেজ প্রতাপ।
