সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার নির্বাচনে কার্যতই ঝড় তুলেছিল এনডিএ। ২৪৩ আসনের মধ্যে ২০২টি আসন পেয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছে শাসক জোট। কিন্তু দেখা যাচ্ছে জয়ী প্রতিনিধিদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের নামেই ঝুলছে ফৌজদারি মামলা। তবে এই পরিসংখ্যান ২০২০ সালের চেয়ে ভালো! সেবার দেখা গিয়েছিল শতকরা ৬৮ শতাংশই অভিযুক্ত।
দেখা যাচ্ছে, গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান আগের বারের চেয়ে উন্নত। ৫১ শতাংশ থেকে কমে তা এবার ৪২ শতাংশ। তবে গতবারের নিরিখে যতই পরিসংখ্যানে উন্নতি হোক, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা জয়ীদের অর্ধেকেরও বেশি- এই পরিসংখ্যান নিয়ে চর্চা চলছে।
এবারের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ২১৪ জন পুরুষ। মহিলা ২৯ জন। এটাও অবশ্য ২০২০ সালের থেকে সামান্য ভালো। সেবার ভোটে জিতেছিলেন ২৬ জন মহিলা প্রার্থী। এবার তা বাড়লেও সব মিলিয়ে জয়ীদের মাত্র ১২ শতাংশ। অর্থাৎ উন্নতি ঘটলেও তা বেশ ধীরগতির। এদিকে ফৌজদারি মামলার প্রসঙ্গ যদি ওঠে, সেক্ষেত্রে ২০১৫ সালেও তা ছিল ৫৮ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৫৭ শতাংশ। অর্থাৎ সেদিক থেকে দেখলে এবারের পরিসংখ্যান তুলনামূলক ভাবে কম। অন্যদিকে যদি গুরুতর অপরাধের পরিসংখ্যান দেখা যায়, তাহলে ২০১৫ ও ২০১০ সালে যথাক্রমে তা ছিল ৪০ ও ৩৩ শতাংশ। এই হার কিন্তু এবার বেশি। যদিও আগের বারের চেয়ে কম।
আরও একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত জয়ী প্রার্থীর শতকরা হার কমলেও কোটিপতি বিজয়ীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২০ সালে যেখানে ৮১ শতাংশই ছিল কোটিপতি, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৯০ শতাংশ। ২০১৫ সালে তা ছিল ৬৭ শতাংশ। ২০১০ সালে মাত্র ২০ শতাংশ।
এদিকে শনিবার অমিত শাহর উপস্থিতিতে এনডিএ নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই ঠিক হয়েছে ফের নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। ভোটের আগে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদি দুজনেই বলেছিলেন, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে লড়বে এনডিএ জোট। এই সপ্তাহেই শপথ নেবে বিহারের নতুন সরকার।
