সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণের পরই বোমাতঙ্কে কাঁপল দেশের একাধিক বিমানবন্দর। বুধবার বারাণসীগামী বিমানে বোমা রাখা রয়েছে বলে খবর ছড়ায়। তারপরেই দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে বোমা রাখা হয়েছে বলে বার্তা আসে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই বিমানবন্দরগুলিতে।
সোমবার দিল্লিতে লাল কেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পর গোটা দেশজুড়ে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। রেল স্টেশন, বিমানবন্দরের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও আঁটসাট করা হয়েছে। তার মধ্যেই আকাশপথে আতঙ্ক ছড়ায়। জানা গিয়েছে, বুধবার বারাণসীগামী এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে বিমানে বোমা রাখা রয়েছে বলে খবর ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বম্ব থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়। তবে যাত্রীরা নিরাপদে বারাণসীতে পৌঁছেছেন। নিয়মমাফিক তল্লাশি চালিয়েও বিমানে বিস্ফোরক মেলেনি বলে জানিয়েছে উড়ান সংস্থাটি।
এই ঘটনার পরেই ইন্ডিগো উড়ান সংস্থা সূত্রে জানা যায়, পাঁচটি বিমানবন্দরে বোমা রাখা রয়েছে বলে বার্তা পেয়েছে তারা। দেশের অন্যতম প্রধান বিমানবন্দর দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং তিরুঅনন্তপুরমে বোমা রাখার হুমকি দেওয়া হয়। সাধারণত ইমেলেই এহেন বোমাতঙ্কের হুমকি আসতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। কিন্তু বুধবারের এই হুমকি ইমেল মারফত আসেনি বলেই সূত্রের খবর। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বিমানবন্দরে নাশকতার খবর মেলেনি।
উল্লেখ্য, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ দিল্লির গোবিন্দপুরী মেট্রো স্টেশনের কাছে বাসস্ট্যান্ডে একটি সাদা মহিন্দ্রা থার গাড়িতে প্রচুর পরিমাণ RDX, এক কোটি টাকা, একটি বন্দুক এবং চারটি মোবাইল উদ্ধার করেছে। দুই সন্দেহভাজন জেহাদিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ আরডিএক্স গাড়িতে রয়েছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে, লালকেল্লার ধারে যেভাবে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, সেই একই ভাবে বিস্ফরণ ঘটানোর ছক ছিল জেহাদিদের। এহেন পরিস্থিতিতেই বিমানবন্দরেও বোমাতঙ্ক ছড়ায়।
