সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কাঁথির সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট নিয়ে বেনজির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। আধা সামরিক বাহিনীর নজরদারিতে ভোটাভুটি হবে বলেই জানাল শীর্ষ আদালত। ভোটে কারচুপি রুখতে প্রতিটি বুথে সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে বলেও নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
প্রায় তিন বছর কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পরিচালন কমিটি নেই। স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেই আপাতত ব্যাঙ্ক চলছে। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কে পরিচালন কমিটি গঠনের জন্য ভোটের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় উচ্চ আদালত ভোট করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ভোটাভুটি। সমবায় দপ্তরকে এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। ভোটার তালিকা প্রকাশ থেকে ভোটের বিজ্ঞপ্তি-সবটাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ ছিল। সেইমতো সমবায় দপ্তর রিটার্নিং অফিসার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে।
কাঁথির তিনটি স্কুলে পাঁচটি বুথ করার কথা ভাবা হয়। তবে ওইদিন সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা রয়েছে। ওই তিনটি স্কুল পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়ায় নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তার পরিবর্তে ওই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি থেকে যথাক্রমে ৫০ মিটার, ১০০ মিটার, ৮০০ মিটার, ৩ কিলোমিটার ও ৭ কিলোমিটার দূরে পাঁচটি বুথ করা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্য়ালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এগরার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর বেরা। ভোটারদের অসুবিধা হবে বলেই আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তবে রাজ্যের তরফে সর্বভারতীয় পরীক্ষা থাকায় বুথ বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয়।
সবপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আদালতের নির্দেশ, ভোটের দিন রাজ্য সরকার এবং সমবায় নির্বাচন দপ্তরকে নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য পরিবহণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ওই পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি বুথে সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্তও করতে হবে। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের নিরাপত্তায় বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েই থাকে। তবে সমবায় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।