নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ওয়াকফ বোর্ড নিয়ে জেপিসির বৈঠকে হট্টগোল। তীব্র বাদানুবাদ শাসক ও বিরোধী সাংসদদের। কার্যত উত্তাল সংসদ চত্বর। বাদানুবাদের জেরে ওয়াকআউট বিরোধীদের। সূত্রের দাবি, তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১০ বিরোধী সাংসদকে আজকের দিনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল।
ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের দাবি মেনে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়েছিল সরকার। প্রাথমিকভাবে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহেই। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট দিতে না পারায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। শুক্রবার এবং শনিবার চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল শেষ দফায় জেপিসির বৈঠক ডেকেছিলেন।
যেহেতু শেষ দফার বৈঠক, তাই এদিন সংসদ চত্বরে উত্তেজনা হতে পারে তেমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। হলও তাই। বৈঠকের শুরুতেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। বিরোধীদের অভিযোগ, জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করছেন। এই নিয়ে এখনও বহু আলোচনার প্রয়োজন আছে। বহু পক্ষের সঙ্গে কথা বলা দরকার। এদিন তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকা নিয়েও আপত্তি তোলেন বিরোধীরা। জগদম্বিকা পাল ২৫ তারিখের বদলে ২৭ তারিখ ফের বৈঠক ডাকতে চাইলেও আপত্তি তোলেন বিরোধীরা। তারপরই শুরু হয় বাদানুবাদ। যার জেরে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। শোনা যাচ্ছে, এর পরই ১০ বিরোধী সাংসদকে আজকের দিনের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন কমিটির চেয়ারম্যান।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, "আমরা অনুরোধ করেছিলাম বৈঠকটি ৩০-৩১ করার জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যান আমাদের কোনও কথা শোনেননি। আমরা বাধ্য হয়ে সব পূর্ব নির্ধারিত সূচি বাতিল করে এসেছি। এমনকী এজেন্ডা অনুযায়ী আলোচনাও হচ্ছে না। একেকজন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের মতো মনে করেন।" কল্যাণ জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান ১০ সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন।
ওয়াকফ বোর্ডের জেপিসি বৈঠকে হট্টগোল অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে এই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হট্টগোল করার অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপির অভিযোগ ছিল, একটি কাচের গ্লাস ছুড়ে মেরেছেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও কল্যাণ সেসময় দাবি করেন, তার নিজের হাতেই কাচের গ্লাস ভাঙে।