সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারে ভাঙন নিয়ে এবার মুখ খুললেন চিরাগ পাসওয়ান। বিহার নির্বাচনে হারের পর বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন লালুকন্যা রোহিণী আচার্য। লালুর চার কন্যা চলে গিয়েছেন পাটনার বাড়ি ছেড়ে। এহেন পরিস্থিতিতে চিরাগ বলেন, লালুর সন্তানরা তাঁর নিজের ভাইবোনের মতোই। পারিবারিক বিবাদ যেন দ্রুত মিটে যায়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মত, শ্বশুরবাড়িটাই বিবাহিত মহিলাদের একমাত্র বাড়ি, এরকম ধরে নেওয়া মোটেই উচিত নয়।
সমাজমাধ্যমে রোহিণী জানিয়েছেন, তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁকে মারতে তাঁর দিকে জুতোও তোলা হয়েছিল। যদিও রোহিণী আলাদা করে কারও নাম নেননি। তিনি লিখেছেন, “আমি আমার আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করিনি। সত্যকে বিসর্জন দিইনি। কেবল এই কারণেই আমাকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে। গতকাল বাধ্য হয়ে এক অসহায় মেয়ে তাঁর ক্রন্দনরত বাবা-মা এবং বোনেদের ছেড়ে চলে এসেছে। আমাকে অনাথ করে দেওয়া হয়েছে।" এই বার্তা দেওয়ার পরদিনই লালুর আরও তিন মেয়ে রাজলক্ষ্মী, রাগিনী ও চান্দা পাটনার বাড়ি ছেড়েছেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। তাঁরা দিল্লি চলে গিয়েছেন।
বিহারের সবচেয়ে বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারে ভাঙনের আবহে দলীয় ভেদাভেদ ভুলে রোহিণীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন চিরাগ। তিনি সাফ বলেন, "বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িটাই মেয়েদের একমাত্র বাড়ি, সেটা আমি মনে করি না। এই গোঁড়া চিন্তাধারা সমর্থন করা উচিত নয়। রোহিণীর কথায় যে যন্ত্রণা লুকিয়ে রয়েছে সেটা আমি উপলব্ধি করতে পারছি।" চিরাগ আরও বলেন, "আমাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও তেজস্বী, তেজপ্রতাপ, মিসা, রোহিণীদের আমি নিজের ভাইবোনের মতো দেখেছি। আমি প্রার্থনা করি যেন এই পারিবারিক বিবাদ দ্রুত মিটে যায়।" চিরাগ জানিয়েছেন, এরকম পারিবারিক দ্বন্দ্বের শিকার হয়েছেন তিনি নিজেও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লালুর পরিবারে ফাটল অনেকদিন আগেই ধরে গিয়েছিল। কয়েক মাস আগে থেকেই রোহিণীর সঙ্গে দল এবং পরিবারের ফাটল চওড়া হচ্ছিল। নিজের বাবা, ভাই তেজস্বী যাদব-সহ দলের এক্স হ্যান্ডলকে ‘আনফলো’ করে দেন লালুকন্যা। পাশাপাশি, পরিবারের দিকে ছুড়েছিলেন কটাক্ষও। ভোট মিটতেই যাদব পরিবারে দাউদাউ করে জ্বলছে 'গৃহযুদ্ধে'র আগুন।
