shono
Advertisement

কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা, দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে আর কী বললেন মমতা?

বিরতির মাঝেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিমানে কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 09:31 PM Aug 07, 2022Updated: 09:35 PM Aug 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবরের মতো দিল্লির মঞ্চে দাঁড়িয়ে এবারও রাজ্যের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধেই সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জোর দিলেন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো (Federal Structure) অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার মাধ্যমে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায়। বোঝালেন, রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করলে তা আদতে দেশেরই ক্ষতিসাধন করবে। অবিলম্বে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেন। বারবার অডিট রিপোর্ট দেওয়ার পর কেন আটকে ১০০ দিনের কাজ করা গরিব মানুষের টাকা? তুললেন সেই প্রশ্নও।

Advertisement

মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে, শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনের কালচারাল সেন্টারে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের প্রস্তুতি বৈঠকে তিনি বলার সুযোগ পাননি। অথচ স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবদান সবচেয়ে বেশি। সেই কক্ষেই এদিন বসেছিল নীতি আয়োগের (NITI Ayog) বৈঠক। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতীন গড়করি। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীগণ। বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশ কুমার ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। আসেননি খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।

[আরও পড়ুন: আধুনিক যুগের ‘সহমরণ’! শোকে স্বামীর চিতার কাছেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী স্ত্রী]

তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দিল্লি সফর এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যই।  বলা যেতে পারে যে পরিমাণ আর্থিক বঞ্চনার মুখে বাংলাকে পড়তে হয়েছে, তা নিয়ে বৃহত্তর মঞ্চে সরব হওয়ার জন্য তিনি অপেক্ষা করেছিলেন। সুযোগের সদ্ব্যবহারও করেন। নীতি আয়োগের বৈঠকে লিখিত ভাষণের পাশাপাশি নিজের মতো করে অভিমত ব্যক্ত করেন।

তাঁর বক্তব্য বিষয়, নীতি আয়োগ রাজ্যের দিকে তাকাক। উন্নয়নে একজোট হয়ে চলতে হবে। সব রাজ্যকে সমান চোখে দেখা উচিত। জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP) নিয়ে বাংলার প্রতিবাদ ঠিক কোথায়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে সরব ছিলেন। সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাস, ডিজেল পেট্রোলের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে তাঁর উদ্বেগ গোপন করেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নানা ইস্যুতে তিনি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে কোনও বিষয়ে সরকারের পাশে যে তৃণমূল থাকবে সেই বার্তা দিয়ে মমতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “আগামী বছর জি২০ সম্মেলন ভারতে হবে। এটা খুব ভাল উদ্যোগ। যে কোনও সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।”

[আরও পড়ুন: ‘মঞ্চে উঠতে যোগ্যতা লাগে!’, অনুষ্ঠান মঞ্চে নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখে মেজাজ হারালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক]

মুখ্যমন্ত্রী এদিন নীতি আয়োগের প্রথমার্ধ্বেই তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। তারপর মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেড়িয়ে সোজা বিমানবন্দরে গিয়ে কলকাতা উড়ে যান। গত তিন দিনের মতো এদিনও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি মমতা। চারদিনের সফরে সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে কারও সঙ্গে দেখা না করলেন আশক গেহেলট থেকে কেজরিওয়াল, চন্দ্রশেখর রাও একাধিক বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। পরপর দু’দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে কথা হয়েছে বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও। মূলত রাজ্যের ইস্যু নিয়ে আসা সফরে তিনি নিজের মতো করেই কৌশলী অবস্থান নিয়েছিলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement