shono
Advertisement

বিজেপির ধাঁচে ‘স্লোগান’তৈরির জন্য পেশাদার লোক নেবে কংগ্রেস! চিন্তন শিবিরে একাধিক ‘বৈপ্লবিক’সিদ্ধান্ত

বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ দাবিও মেনে নিলেন সোনিয়ারা।
Posted: 08:10 PM May 14, 2022Updated: 08:23 PM May 14, 2022

সোমনাথ রায়, উদয়পুর: অবশেষে গতানুগতিক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে কংগ্রেস (Congress)। চিন্তন শিবিরের শুরুতেই কংগ্রেস নেতারা স্বীকার করে নিয়েছিলেন, গত দু’বছরে গণতন্ত্রের আধুনিকিকরণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারায় পিছিয়ে পড়েছে দল। তাই এবার আধুনিকীকরণে জোর দিচ্ছে কংগ্রেস। সূত্রের দাবি, আগামী দিনে বিজেপির ধাঁচে মনগ্রাহী স্লোগান, ক্যাচলাইন বা প্রচার কৌশল তৈরির জন্য আলাদা পেশাদার লোক নিয়োগ করার কথা ভাবছে শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল।

Advertisement

আসলে কংগ্রেসের একটা বড় অংশ মনে করছে, কংগ্রেস নিজেদের কথা সাধারণ মানুষের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারছে না। বিজেপি (BJP) সরকারের অর্থনৈতিক নীতির হাজারো ব্যর্থতা সত্ত্বেও তার ফসল যে কংগ্রেস ঘরে তুলতে পারছে না, সেটা এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ পি চিদম্বরম (P. Chidambaram) । তাই কংগ্রেস আগামী দিনে এমন পেশাদার কাউকে নিয়োগ করতে চাইছে, যার কাজ হবে বিজেপির খামতি গুলি মানুষের কাছে তুলে ধরা। দলের জন্য বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন বা মনগ্রাহী স্লোগান তৈরি করা। সেই সঙ্গে প্রচার কৌশল তৈরির কাজেও সাহায্য করবেন সেই কুশলী। মোট কথা কংগ্রেস নিজেদের আরও চমকপ্রদ করার চেষ্টা করছে। আর তাতে সাহায্য করার জন্যই একজন কুশলী নিয়োগ করতে চায় হাত শিবির। কংগ্রেসের অন্যম মুখপাত্র গৌরব বল্লভ সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের কাছে সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন পর দলীয় কর্মসূচিতে সিপিএম নেতা গৌতম দেব, তুঙ্গে জল্পনা]

বস্তুত চিন্তন শিবিরের দ্বিতীয় দিনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত শিবির। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সম্ভবত দলের অন্দরের বিক্ষুব্ধ শিবিরের অন্যতম দাবি মেনে আলাদা সংসদীয় বোর্ড গঠন করা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলের ওয়ার্কিং কমিটির সিলমোহর পেলেই আলাদা সংসদীয় বোর্ড তৈরির প্রস্তাব ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। এছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব এদিন দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, আগামী দিনে দলের সমস্ত পদে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হতে পারে। সবটাই CWC’র অনুমতি সাপেক্ষ।

[আরও পড়ুন: কাশীপুর কাণ্ড: জুয়ায় টাকা খুইয়েই অবসাদ, অর্জুনের ঝুলন্ত দেহের পকেটে ছিল মাত্র ৫০০ টাকা]

এদিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফের বৃহত্তর জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে কংগ্রেস। শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্বের জনজাগরণ যাত্রা শুরু করা হবে। শনিবার চিন্তন শিবিরের মাঝেই বিভিন্ন রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি, পরিষদীয় দলনেতা এবং এআইসিসির পর্যবেক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করেন রাহুল-সোনিয়া। সেখানেই রাজ্যে রাজ্যে বড় বড় জনসভা এবং মিছিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement