সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক অসুস্থতার জন্য ইদানিং আর সেভাবে সক্রিয় নন সোনিয়া গান্ধী। অন্তত কংগ্রেসের রোজকার কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করেন না। ভোটের প্রচারেও সেভাবে দেখা যায় না। খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনও ইস্যু না হলে মাথা ঘামান না। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলের অন্দরে প্রবীণদের মধ্যে রাহুল গান্ধীর যা গ্রহণযোগ্যতা তার চেয়ে সোনিয়ার কথার গুরুত্ব এখনও বেশি। কিন্তু কর্নাটকে কংগ্রেসের সমস্যা এতটাই জটিল যে সেই সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপেও সেটা মিটল না।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদল নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী দশ জনপথে কর্নাটকের পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন। তাতে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরে বেণুগোপাল বলেন, কর্নাটকের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফের বৈঠক হবে। অর্থাৎ সোনিয়ার হস্তক্ষেপের পরও নিজেদের হাতে থাকা সবচেয়ে বড় রাজ্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ কংগ্রেস।
বিবাদ মেটাতে হাই কম্যান্ডের নির্দেশে দু'দফায় বৈঠক করেছেন ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। একটা ‘শান্তিচুক্তি’ হলেও মুখ্যমন্ত্রীর পদটি নিয়ে দুই নেতা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ব্রেকফাস্ট টেবিলে শিবকুমার সিদ্দারামাইয়াকে মনে করিয়ে দেন, যে ক্ষমতায় আসার পর আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি ভাগাভাগির ফরমুলা তৈরি হয়েছিল। সিদ্দা নাকি সেটা মনেই করতে পারেননি। তিনি পালটা প্রস্তাব দিয়েছেন, এই পাঁচ বছর নির্বিবাদে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে দেওয়া হোক। ২০২৮ সালে ভোটের আগে শিবকুমারকে মুখ ঘোষণা করে দেওয়া হবে। এবং তাতে তিনি সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করবেন।
সেই প্রস্তাব নাকি ডিকের মনপসন্দ হয়নি। তিনি বলে গিয়েছেন, আড়াই বছরের চুক্তি এখন অস্বীকার করতে পারেন না সিদ্দা। যদিও দুজনেই বল ঠেলেছেন হাইকম্যান্ডের কোর্টে। ঠিক হয়েছে, রাহুল গান্ধী যা বলবেন সেটাই দুই নেতা হাসিমুখে মেনে নেবেন। কিন্তু হাইকম্যান্ডও সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ।
