সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্মতিমূলক যৌনতা মানেই সঙ্গিনীকে নিগ্রহ করার অধিকার নেই পুরুষের। এক সমাজকর্মীকে শারীরিক ও যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক। সেই মামলার শুনানিতে এমনই জানাল কর্নাটক হাই কোর্ট।
২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নির্যাতিতার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বি অশোক কুমার নামের এক সার্কেল ইনস্পেক্টর। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর ওই মহিলা অভিযোগ করেন, একটি হোটেলে জোর করে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন অভিযুক্ত। পাশাপাশি শারীরিক হেনস্তাও করেন। পরদিন একটি বাস স্টপে তাঁকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। পরে ওই মহিলা নিকটবর্তী হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করান। পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে খুনের চেষ্টা, ধর্ষণ, নিগ্রহ ও জোর করে বন্দি করে রাখার অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটি খারিজ করার আবেদন জানিয়ে অভিযুক্ত বলেন, শুরু থেকেই যৌনতায় সম্মতি জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। তদন্ত শেষ করার পর পুলিশ চার্জশিট জমা দেন।
অবশেষে মামলার শুনানির সময় উচ্চ আদালতের বিচারক এম নাগাপ্রসন্ন বলেন, ''আমি মনে করি, যৌন সম্পর্কের সম্মতি থাকলেও অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার মধ্যে সংঘটিত যৌনতা কখনওই পুরুষের জন্য মহিলাকে আক্রমণ করার অনুমতি হতে পারে না। মামলাটি অভিযোগকারীর উপর চরম নারী-বিদ্বেষী বর্বরতার চিত্রই তুলে ধরছে।'' তবে সেই সঙ্গে তিনি এও মেনে নেন, ওই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক, বিশেষত শারীরিক সম্পর্কও অনেক সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল। তবু কখনও কখনও অভিযুক্ত সহিংস আচরণ করেছিলেন। কিন্তু ধর্ষণের মতো অভিযোগের দিক বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে কোনও প্রতারণা বা বলপ্রয়োগ হয়নি, যেমনটি অভিযোগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সবই হয়েছে সম্মতির ভিত্তিতে।