shono
Advertisement
Delhi High Court

'যৌনতায় সম্মতি মানেই অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার অনুমতি নয়', পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের

এমনকী সেই ভিডিও কোনওভাবেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা যায় না। স্পষ্ট জানিয়েছে আদালত।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 09:18 AM Jan 23, 2025Updated: 10:01 AM Jan 23, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ সঙ্গমে সম্মতি জানিয়েছেন, তার মানে এই নয় যে তাঁর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা যাবে। এমনকী সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্টও করা যায়। একটি ধর্ষণের মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের।

Advertisement

পিটিআই সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত এক যুবক উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিল। তার দাবি ছিল, অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল তার। একে ওপরের সম্মতিতেই দুজনে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিল। কিন্তু এর কয়েকদিনের মধ্যে ওই মহিলা তার থেকে কিছু টাকা ধার নেয়। কিন্তু সময় মতো সেই ঋণ মেটাতে না পারায় দুজনের মধ্যে তিক্ততা বাড়ে। সম্পর্কে চিড় ধরে।

তবে প্রাথমিক তদন্তের পর আদালত জানতে পারে, অভিযুক্ত তাদের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে গোপন মুহূর্তের ভিডিও করে রেখেছিল মোবাইলে। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযোগকারী মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এই প্রেক্ষিতেই দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি স্বরনাকান্ত শর্মা জামিনের আবেদন খারিজ করে স্পষ্ট জানান, "যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার সম্মতি জানানো মানে এই নয় যে কেউ গোপন ভিডিও করার বা ছবি তোলার অনুমতি দিচ্ছেন। এমনটা কখনও মনে করা উচিত নয়। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও বা ছবি কোনওভাবেই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা যায় না। এটা সম্পর্কের সুযোগের অপব্যবহার।"

এরপরই অভিযুক্ত দাবি করে, ওই মহিলা তো বিবাহিত। তাই তার উচিত ছিল এই সম্পর্কের ফল কী হতে পারে তা বোঝা। কিন্তু আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, অভিযুক্ত ওই মহিলার বিবাহিত হওয়ার বিষয়টি হাতিয়ার করতে চাইছে। অভিযোগকারী মহিলাও পালটা অভিযোগ জানান, অভিযুক্ত তাঁকে ভুল বুঝিয়ে বন্ধুত্ব করেছিল। এরপর একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্যে নিজেই তাঁকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিল। কিন্তু সেই ঋণকে হাতিয়ার করেই নিজের যৌন লালসা মেটানোর জন্যে দিনের পর দিন তাঁকে চাপ দেয় অভিযুক্ত। গোপন মুহূর্তের ছবি, ভিডিও তোলার ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেন না। ২০২৩ সালের শেষ দিকে অভিযুক্ত দিল্লিতে এসে তাঁকে সেগুলো দেখিয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে। ব্ল্যাকমেল করে একাধিকবার যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, সে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো পোস্টও করে দেয়। জানা গিয়েছে, এরপরই ধর্ষণের মামলা করে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কেউ সঙ্গমে সম্মতি জানিয়েছেন, তার মানে এই নয় যে তাঁর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা যাবে।
  • একটি ধর্ষণের মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের।
  • জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত এক যুবক উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিল।
Advertisement