সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কোনও অভয়ারণ্যেই থাকে ক্যামেরা। যা প্রতিনিয়ত বন্যপ্রাণীদের গতিবিধির দিকে নজর রাখে। কিন্তু সেই ক্যামেরাই যদি মহিলাদের দিকে তাক করা হতে থাকে? এমনই ভয়াবহ অভিযোগ উঠল উত্তরাখণ্ডের করবেট ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অরণ্যে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। উত্তরাখণ্ডের বন দপ্তর পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, জঙ্গলের পাশের গ্রামবাসীরা এবং বেশ কয়েকজন বনকর্মী মিলে বনে লাগানো ক্যামেরা তাক করে জঙ্গলে প্রবেশ করা মহিলাদের উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জঙ্গলে তদন্ত চালিয়ে দাবি করেছেন, কেবল ক্যামেরা নয়, ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এতে বিপণ্ণ বোধ করছেন জঙ্গলে প্রবেশ করা মহিলারা। বনমন্ত্রকের এক সিনিয়র আধিকারিক জানাচ্ছেন, এই বিষয়টি করবেট টাইগার রিজার্ভের ফিল্ড ডিরেক্টরকে ইমেল করা হলে তাঁর তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
জানা যাচ্ছে, এক মহিলা জঙ্গলে শৌচকর্ম করতে গেলে সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়। পরে তা সোশাল মিডিয়াতেও আপলোড করা হয়েছিল। এপ্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক জানাচ্ছেন, ''ওই অঞ্চলটা এমনই যেখানে মহিলারা স্বাধীন ভাবে থাকতে পারেন। কিন্তু ক্যামেরার ফাঁদ পেতে এমনভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে যে তাঁরা বিপণ্ণ বোধ করছেন।''
উত্তরাখণ্ড মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান কুসুম কান্ডোয়াল জানিয়েছেন, তিনি করবেট অভয়ারণ্যের ফিল্ড ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন। তাঁর কথায়, ''আমি ফিল্ড ডিরেক্টরকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছি। তাঁর কাছে আর্জি জানিয়েছি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য।''