সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহান্তে সামান্য বাড়ল দেশের করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৬, ৭৫২ জন। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ১৬,৪৮৮। করোনার কামড়ে মৃতের সংখ্যা অবশ্য বাড়েনি। শনি এবং রবি – দু’দিনই গড়ে ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে। তবে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বেশ খানিকটা। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ কেস মোট ১ লক্ষ ৬৪ হাজর ৫১১।
প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল কোভিডের (COVID-19) বিরুদ্ধে ভারতে শুরু হয়ে গিয়েছে গণটিকাকরণ। ইতিমধ্যে দেশের মোট ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ১ হাজার ২৬৬ জন টিকা নিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সংক্রমণ বিশেষ রোখা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিন ধরে দেশের করোনা চিত্রে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভাইরাসের নয়া ভারতীয় স্ট্রেন। এই স্ট্রেন আরও বেশি সংক্রামক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে একটা বিষয় স্পষ্ট হল, নয়া স্ট্রেনের দাপট সামলে সুস্থ হয়ে উঠতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১, ৭১৮ জন রোগী করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। শনিবার এই সংখ্যা ছিল আরও বেশি – ১২,৭৭১।
[আরও পড়ুন: আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি রাখার দায় নিল জইশ-উল-হিন্দ]
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩১। করোনার ছোবল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১ কোটি ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৬৯ জন। নয়া স্ট্রেনের দাপট বাড়তে থাকায় আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে চলবে লকডাউন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দুটি টিকা – কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করে চলছে টিকাকরণ। প্রথম দফায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা পেয়েছেন প্রতিষেধক। ১ মার্চ থেকে প্রবীণ নাগরিকদের টিকাদান পর্ব শুরু হবে। আবার তারই মধ্যে মার্চের শেষ থেকে বাংলা-সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের কারণে ভোটকর্মীদেরও করোনা প্রতিষেধক নেওয়া বাধ্যতামূলক। ফলে প্রবীণদের পাশাপাশি তাঁদেরও টিকা দেওয়া হবে।