সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন স্ট্রেনের হামলা এবং মহারাষ্ট্রের লাগামহীন বৃদ্ধি। সার্বিকভাবে দেশের করোনার পরিসংখ্যান নিয়ে নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। গত প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে লাগাতের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা গ্রাফ। ব্যতিক্রম হল না শুক্রবারও। এদিন দেশে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা সামান্য কমলেও, অ্যাকটিভ কেস এবং মৃতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রশাসনের জন্য। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, সতর্ক না হলে শীঘ্রই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হানা দিতে পারে।
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ হাজার ৫৭৭ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে নামমাত্র কম। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৯১ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে নামমাত্র কম। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে পরপর এত বেশি মানুষের মৃত্যু খুন একটা চোখে পড়েনি। পরপর কয়েকদিনের মৃত্যুর পরিসংখ্যান রীতিমতো চিন্তার।
[আরও পড়ুন: নাথুরাম গডসের মন্দির গড়ার দাবি জানিয়েছিলেন, সেই নেতাকেই দলে নিল কংগ্রেস!]
চিন্তা বাড়িয়েছে ক্রমবর্ধমান অ্যাকটিভ কেসও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৭৯ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেকটা কম। আপাতত দেশে মোট অ্যাকটিভ কেস ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৮৬ জন। একটা সময় এই সংখ্যাটা নেমে এসেছিল ১ লক্ষ ৩৫ হাজারের কাছাকাছি। কিন্তু গত কয়েকদিনে সংখ্যাটা নিয়মিত বাড়তে থাকাই ফের উদ্বেগের জায়গা তৈরি হয়েছে অ্যাকটিভ কেসে। এখনও পর্যন্ত করোনাজয়ীর সংখ্যা ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৮০ জন। দেশে ইতিমধ্যেই ১ কোটি ২৬ লক্ষ ৭১ হাজার ১৬৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার পর ভারতেই টিকা প্রাপকের সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি।