shono
Advertisement

করোনা মোকাবিলায় তৎপরতা বাড়াচ্ছে কেন্দ্র, পরপর মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন মোদির

কোন কোন রাজ্য পেল প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসবাণী?
Posted: 03:31 PM May 08, 2021Updated: 03:31 PM May 08, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতের বাইরে দেশের করোনা (CoronaVirus) পরিস্থিতি। প্রতিদিন মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন চার লক্ষের বেশি মানুষ। প্রাণ যাচ্ছে হাজার হাজার করোনা রোগীর। এর দায় অনেকাংশেই বর্তেছে কেন্দ্রের উপর। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের উদাসীনতাই দেশের বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এমনকী, ভয়াবহ পরিস্থতিতেও এই ভাইরাস মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। এসব অভিযোগের মধ্যেই মহামারী মোকাবিলায় বেনজির ততপরতা দেখানো শুরু করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই সংকটকালে বারবার কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের কথা বলেছেন। এবার নিজেই শুরু করলেন সেই সমন্বয় সাধনের কাজ। শনিবার পরপর চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মোদি। এই নিয়ে গত ৩ দিনে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে মোদির।

Advertisement

এদিন প্রধানমন্ত্রী সবার প্রথমে ফোন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। দেশে এই মুহূর্তে মারাঠাভুমেই করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে মারাত্মক। গতকালও সেরাজ্যে ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। সম্প্রতি কো-উইন অ্যাপের মাধ্যমে টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্তকরণে সমস্যার কারণে মহারাষ্ট্রে পৃথক অ্যাপ খোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন উদ্ধব। তারপরই তাঁকে ফোন করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। ঠাকরে ছাড়াও তামিলনাড়ুর নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন (M K Stalin), বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদি। সদ্য শপথ নেওয়া স্ট্যালিনকে করোনা মোকাবিলায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেটাও জানতে চান তিনি। মধ্যপ্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদেরও একইভাবে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এই রাজ্যগুলির করা পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে গত ৩ দিনে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ফোনে তিনি কথা বলেছেন, দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপালের সঙ্গেও। তবে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও আশ্বাসসূচক ফোন পাননি।

[আরও পড়ুন: করোনা চিকিৎসায় বড় সিদ্ধান্ত, হাসপাতাল-নার্সিংহোমে নগদ লেনদেনে মিলবে বিশেষ সুবিধা]

প্রসঙ্গত, মোদির এই মুখ্যমন্ত্রীদের ফোন করা নিয়ে একপ্রস্ত বিতর্কও হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন অভিযোগ করেছেন, মোদি তাঁকে ফোন করে শুধু নিজের ‘মন কি বাত’ শুনিয়েছেন। কোনও ‘কাম কি বাত’ করেননি। আবার ঝাড়খণ্ডবাসীর অসুবিধার কথা শোনেনওনি। আবার সরকারি ফোনালাপ নিয়ে এভাবে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করায় পালটা কটাক্ষও হজম করতে হয়েছে হেমন্তকে। তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসার কংগ্রেস পার্টির সুপ্রিমো জগনমোহন রেড্ডি। তাঁর বক্তব্য, এভাবে প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপের সমালোচনা করা উচিত হয়নি হেমন্তের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement