হেমন্ত মৈথিল: ভারতের মতো বহুসংস্কৃতিসম্পন্ন দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার মন্ত্র একটাই, তা হল 'একতা'। মহাকুম্ভে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সন্ত সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই বার্তা দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। একইসঙ্গে সনাতন ধর্মকে ‘বটবৃক্ষ’ বলে আখ্যা দিলেন তিনি।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে শনিবার প্রয়াগরাজে আয়োজিত হয়েছিল বিশেষ ‘সন্ত সম্মেলন’। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোগী বলেন, “সারা বিশ্বে অসংখ্য সম্প্রদায় থাকতে পারে, তাঁদের উপাসনাবিধিও আলাদা আলাদা হতে পারে। কিন্তু ধর্ম একটাই। সেটা হল সনাতন ধর্ম। ভারতে নিষ্ঠা ও আস্থার দিক দিয়ে সকলেই সনাতন ধর্মের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চল, ভাষা বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলে সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য রক্ষা করে চলেছেন।" একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, "একতাই দেশকে অখণ্ড রাখতে পারবে।” এ প্রসঙ্গে শিখ গুরু গোবিন্দ সিং, গুরু তেগ বাহাদুর এবং অন্যান্য মহান সাধুদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মনে রাখবেন ভারত যদি সুরক্ষিত থাকে তাহলে আমরা সকলে সুরক্ষিরত থাকব। দেশের উপর কোনও সংকট এলে তা সনাতন ধর্মের উপর পড়বে। তা যদি হয় তবে কোনও সম্প্রদায় নিজেদের সুরক্ষিত ভাববেন না। বিপদ সবার উপর আসবে। ফলে সকলে একজোট হয়ে থাকুন। এবং মাথায় রাখুন এমন পরিস্থিতি যেন কখনও তৈরি না হয়।” সনাতন ধর্ম কে ‘বটবৃক্ষ’-এর সাথে তুলনা করতে গিয়ে যোগী বলেন, “এই ‘বটবৃক্ষ’ শব্দটি সনাতন ধর্মের গভীর শিকড় ও স্থায়িত্বের প্রতীক। এটি দীর্ঘজীবী, ছায়াদানকারী এবং সমস্ত জীবকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা রাখে”।
এর পাশাপাশি কুম্ভের সাফল্য ব্যাখ্যা করে যোগী বলেন, “আপনারা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন কীভাবে পবিত্র মনোভাব নিয়ে মহাকুম্ভের আয়োজন করা হচ্ছে। বর্তমানে এখানে দুই কোটি পুণ্যার্থী উপস্থিত রয়েছেন। গত ১০ দিনে ১০ কোটির বেশি মানুষ স্নান করেছেন। আগামী ৩৫ দিনে এই সংখ্যাটা ৪৫ কোটি ছুঁয়ে ফেলবে।” এছাড়া রামমন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ''২০১৬ সালে অযোধ্যায় ভক্ত সংখ্যা ছিল ২.৩৬ লক্ষ। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয় ১২ থেকে ১৫ কোটি।''