সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযৌক্তিক কারণে ফাঁসির সাজা কার্যকরে দেরি করা যাবে না কোনওমতেই। ফাঁসির সাজায় দেরি হলে বিবেচনা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিতে পারে আদলত। সোমবার একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি অভিযুক্তের অধিকারের বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতিদের বক্তব্য, ফাঁসির আসামিরও মন বা শরীর রয়েছে, যা উপেক্ষা করা যায় না।
বম্বে হাই কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে মামলা উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা বদলে ৩৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মামলা উঠেছিল বিচারপতি এস ওকা, বিচারপতি আহসনউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্র বেঞ্চে। বিচারপতিরা জানিয়ে দিলেন, সাজা বদলের এই সিদ্ধান্ত ন্য়ায্য।
এদিন শুনানিতে সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে অকারণ দেরি অভিযুক্তের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। আদালতের তরফে আরও বলা হয়, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামির প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হলে, সেই তথ্যও আসামিকে জানানো উচিত। এর পরেই সাজাপ্রাপ্তের শারীরিক এবং মানসিক পরিস্থিতি বিবেচনার কথা বলে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। আরও বলা হয়েছে, ফাঁসির সাজা কার্যকরে অযৌক্তিক দেরি হলে আসামি চাইলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেক্ষেত্রে মূল মামলা নয়, কেবলমাত্র ফাঁসির সাজা কার্যকরে কেন দেরি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবে আদালত।