সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের এক সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে দিল্লি। প্রতিবছর দীপাবলির পর থেকেই দূষণের চাদরে ঢেকে যায় রাজধানী। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার শহরের দূষণ নিয়ে ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন দিল্লিবাসীদের একাংশ। তবে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন।
জানা গিয়েছে, দিল্লির বায়ুদূষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে রবিবার ইন্ডিয়া গেটের সামনে ভিড় জমান বহু মানুষ। তাঁদের দাবি, দূষণ প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করুক সরকার। শুধু তাই নয়, বায়ুদূষণ বাগে আনতে কড়া নিয়ম জারিরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যেমন সাধারণ নাগরিকরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন বহু পরিবেশকর্মীও। অনেক মহিলা আবার তাঁদের সন্তানদের নিয়েও এসেছিলেন। তাঁদের হাতে ছিল ‘নেবুলাইজার’ (চিকিৎসার সরঞ্জাম)। আন্দোলনরত এক পরিবেশকর্মী ভাবরিন খাণ্ডারি বলেন, “আমরা নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা প্রত্যাখিত হয়েছি। অনেক মা-বাবা এখানে এসেছেন, যাদের সন্তানরা কষ্ট পাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশুর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত। এই দূষণ চলতে থাকলে এখানকার শিশুরা পরিষ্কার বাতাসে বেড়ে ওঠা শিশুদের তুলনায় অন্তত ১০ বছর কম বাঁচবে।”
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বাড়ছে দূষণ। রবিবারও দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে। ‘দমবন্ধ’ অবস্থা দিল্লিবাসীর। আর এই পরিবেশে বাড়ছে অসুস্থতা। বাড়ছে উদ্বেগ।
