সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তিতে দিল্লির ৬ জায়গায় বিস্ফোরণের ছক ছিল জঙ্গিদের! সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জন্য ৩২টি গাড়ি বেছে নেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি গাড়িই একাধিকবার হাতবদল হয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। বাবরি ধ্বংসের বদলা নিতে রাজধানীর ৬টি জায়গা টার্গেট করা হয়েছিল হামলার জন্য। সোমবার দিল্লিতে বিস্ফোরণের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না জঙ্গিদের।
দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিলছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, সাধারণতন্ত্র দিবসেই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের। আর সেজন্য লালকেল্লায় রেইকিও করে যায় তারা। এছাড়াও এবছরের দিওয়ালিতেও নাকি জনবহুল স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানোর মতলব ছিল তাদের। কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি। তদন্তে উঠে এসেছে, মূলত ফরিদাবাদের আল ফালা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছে এই নাশকতার নেপথ্যে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একে বলছে ‘হোয়াইট কলার টেরর ইকোসিস্টেম’।
এই ইকোসিস্টেমের অন্যতম প্রধান সদস্য ছিল উমর নবি। লালকেল্লার সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল সে। পুলিশের অনুমান, দিল্লিজুড়ে সোমবার ব্যাপক ধরপাকড়ের জেরে খানিকটা আতঙ্কিত হয়েই সন্ধেয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যেহেতু সোমবার লালকেল্লা দর্শকদের জন্য বন্ধ থাকে, তাই মেট্রো স্টেশন লাগোয়া এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায় উমর। তবে দিল্লিতে এইভাবে হামলার পরিকল্পনা ছিল না এই চিকিৎসকদের।
প্রাথমিকভাবে তাদের লক্ষ্য় ছিল আগস্ট মাসে হামলা চালানো হবে। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। দিওয়ালির সময়টাকেও জঙ্গিরা টার্গেট করেছিল। শেষ পর্যন্ত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটি চূড়ান্ত করা হয়। দিল্লির ৬টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটাতে ৩২টি গাড়ি বেছে নেওয়া হয়। এই গাড়িগুলিতেই বিস্ফোরক বোঝাই করার পরিকল্পনা ছিল। বুধবার প্রত্যেকটি গাড়িই বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
