সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তিতে বড়সড় হামলার ছক ছিল দিল্লি বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডার! গ্রেপ্তার হওয়া চিকিৎসকদের জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তবে সরকারিভাবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, আগামী ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩ বছর পূর্তি। ওই সময়েই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ছক কষেছিল উমর নবি।
দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মিলছে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, সাধারণতন্ত্র দিবসেই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের। আর সেজন্য লালকেল্লায় রেইকিও করে যায় তারা। এছাড়াও এবছরের দিওয়ালিতেও নাকি জনবহুল স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানোর মতলব ছিল তাদের। কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি। তদন্তে উঠে এসেছে, মূলত ফরিদাবাদের আল ফালা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছে এই নাশকতার নেপথ্যে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একে বলছে ‘হোয়াইট কলার টেরর ইকোসিস্টেম’।
এই ইকোসিস্টেমের অন্যতম প্রধান সদস্য ছিল উমর নবি। দিল্লিতে যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই গাড়ির বর্তমান মালিক এই উমর। তার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। জানা গিয়েছে, সুনহেরি মসজিদ থেকে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত গাড়িটি চালিয়ে এনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গাড়ির চালকের আসনে থাকা উমরের ছবি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, দিল্লিজুড়ে সোমবার ব্যাপক ধরপাকড়ের জেরে খানিকটা আতঙ্কিত হয়েই সন্ধেয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
দিল্লি বিস্ফোরণের দিনদুয়েক পরে জানা যাচ্ছে, আগামী মাসেই বড়সড় হামলার ছক কষছিল পুলওয়ামার বাসিন্দা উমর। সম্ভবত সেকথা মাথায় রেখেই ফরিদাবাদ-সহ একাধিক এলাকায় বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক জমা করেছিল সে। তবে কোথায় হামলার ছক কষেছিল উমর, তা এখনও অজানা। তার নামে রেজিস্টার্ড একটি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে দিল্লির বিস্ফোরণে। হরিয়ানা থেকে উদ্ধার হয়েছে উমরের নামে থাকা আরেকটি গাড়ি। সেখান থেকে হামলার ছক সংক্রান্ত তথ্য মিলতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
