হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় লখনউয়ের মহিলা চিকিৎসক শাহিন শাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, গ্রেপ্তার হয়েছে তার ভাই পারভেজ আনসারিও। সে ও ছিল একজন চিকিৎসক। তদন্তকারীদের একটি সূত্রের খবর, তাদের সঙ্গে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার সরাসরি যোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শাহিনের ভাই পারভেজকেও গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এটিএস। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর ‘ফিচার’ ফোন এবং আন্তর্জাতিক সিম কার্ডও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কিন্তু কেন এই ‘ফিচার’ ফোনের ব্যবহার? তদন্তকারীদের অনুমান, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এবং আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করতেই ‘ফিচার’ ফোনের আশ্রয় নিয়েছিল পারভেজ। যাতে সহজে তার লোকেশন জানতে না পারেন তদন্তকারীরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই আন্তর্জাতিক সিম কার্ডগুলি ব্যবহার করত পারভেজ। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত মোবাইল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি বর্তমানে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, পারভেজের দিদি অর্থাৎ শাহিন জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেড তৈরির দায়িত্বে ছিল। পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে অপারেশন সিঁদুরে জইশের কোমর ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানে মৃত্যু হয় মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১১ সদস্যের। এর ঠিক পরই ভারতের বিরুদ্ধে বদলা নিতে মাসুদ আজাহারের বোন সাদিয়ার নেতৃত্বে নয়া মহিলা ব্রিগেড তৈরির ঘোষণা করে জইশ। ভাওয়ালপুরের মার্কাজ-উসমান-ও-আলি থেকেই এই সংগঠন তৈরি করা শুরু করে জইশ। নতুন এই মহিলা ব্রিগেডের নাম জামাত-উল-মোমিনাত। সূত্রানুসারে, শাহিন শাহিদকেই দেওয়া হয়েছিল সেই শাখার দায়িত্ব।
