বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় জেল খাটতে হয়েছিল। যদিও এখন জামিনে রয়েছেন রাজধানীর প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। এমন আবহে নির্বাচন কমিশনে নিজের দেওয়া হলফনামায় সম্পত্তির হিসাব নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সিসোদিয়ার জমা দেওয়া হলফনামায় গত পাঁচ বছরে তাঁর স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৭০০ শতাংশ। আর অস্তাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৫০০ শতাংশ। যা দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
বুধবার মনোনয়ন দাখিল করেন মনীশ সিসোদিয়া। কমিশনে তিনি যে হিসাব দাখিল করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ যেখানে ছিল ২ লক্ষ ৬৬ হাজার সেখানে পাঁচ বছরে বেড়ে হয়েছে ৩৪ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। আবার অস্তাবর সম্পত্তি যেখানে ছিল ৪ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা। সেখানে পাঁচ বছরে বেড়ে হয়েছে ১২ লক্ষ ৮৭ হাজার। পাঁচ বছরে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা সম্পত্তি বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, গাজিয়াবাদে তাঁর একটি বাসযোগ্য ফ্ল্যাট রয়েছে। তার মূল্য ২৩ লক্ষ টাকা। আর ময়ূরবিহারে তাঁর স্ত্রীর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে পাঁচ বছরে সিসোদিয়া এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
স্বাভাবিকভাবেই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ আসছে বিজেপি শিবির থেকে। বিজেপির অভিযোগ, দুর্নীতির টাকাতেই সিসোদিয়া সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। পালটা দিয়েছেন সিসোদিয়াও। তিনি বলছেন, তাঁর পারিবারিক আয়বৃদ্ধির সঙ্গে দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সিসোদিয়া দাবি করেছেন, তাঁর নির্বাচনী প্রচারের খরচ উঠবে সাধারণ মানুষের টাকায়। সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ সাহায্যের জন্য যে আবেদন তিনি জানিয়েছিলেন তাতে সাড়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।