বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজ্য দখলের লক্ষ্যে যেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বিরোধী নেতাদের পিছনে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানেই ভরাডুবি হয়েছে। দিল্লিতেও তার অন্যথা হবে না। কেজরিওয়াল ও আপ সরকারের মন্ত্রীদের হেনস্তা করার পরিকল্পনা কার্যত বুমেরাং হয়ে ফিরবে, নির্বাচনের আগে এমনই আশঙ্কা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের। এবারও দিল্লি দখলের স্বপ্ন অধরাই থাকবে বলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সাফ জানাল সংঘ পরিবার। রিপোর্টে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেন, কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি শিবকুমারদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা ও তার ফল সংঘ পরিবারের তরফে বিজেপি নেতৃত্বকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর তাতে স্বভাবতই চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে শাহ-নাড্ডাদের কপালে।
জেলযাত্রা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিপক্ষে গিয়েছে। সিবিআই বা ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি কেজরি বা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জামিন পেয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছে গোটা মন্ত্রিসভা। তাই দিল্লির অধিকাংশ মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ কেজরিওয়ালকে নির্দোষ বলেই মনে করে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল বলে ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়েছে। এর ফলে কেজরির জনপ্রিয়তায় কোনও ভাটা পড়েনি বলেই মনে করছে সংঘ পরিবার।
সূত্রের খবর, সংঘ পরিবার যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, কেজরির জেলযাত্রা ও পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হওয়ার ঘটনার পাশাপাশি দিল্লিতে বাঙালি খোঁজার কাজ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে যাবে। গতবার যে বাঙালিরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল, এবার সেই সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও কেজরির একের পর এক জনমুখী ঘোষণা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে বলেও রিপোর্টে জানিয়েছে সংঘ পরিবার। সংঘের এই রিপোর্ট হাতে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে গেরুয়া শিবির।
অন্যদিকে আরএসএসের রিপোর্টে চাঙ্গা হতে চলেছে 'হাত' শিবির। সংঘ পরিবারের তরফে প্রকাশিত সমীক্ষায় কংগ্রেসের উত্থানের কথা বলা হয়েছে। গতবার কংগ্রেস একটিও আসন জিততে পারেনি। এবার বেশ কয়েকটি আসনে জয়ী হতে পারেন 'হাত' শিবিরের প্রার্থীরা এমনকী গতবারের তুলনায় কংগ্রেসের ভোট বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছে আরএসএস।