সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচয় বিধায়কের পুত্র। যার জেরেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লির রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে বাইক ছোটাচ্ছিলেন যুবক। ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে পুলিশ ওই যুবকের গাড়ি আটকালে পুলিশকে হুমকি দিলেন অভিযুক্ত। কড়া মেজাজে জানালেন, 'জানেন আমার বাবা কে?' তবে বিধায়ক বাবার পরিচয়কে হাতিয়ার করে পুলিশকে হুমকি দিলেও রেহাই মিলল না। অভিযুক্তের বাইক আটক করা হয়েছে। এদিকে পুত্রের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপে রেগে আগুন বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। মাঝরাতে দিল্লির জামিয়ানগরের রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন দুই যুবক, তাও আবার ভুল লেনে। সেই সময় ওই অঞ্চলে টহল দিচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। স্বাভাবিকভাবেই ওই বাইক আটকান তাঁরা। এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু করেন বিধায়ক আমানাতুল্লা খানের ছেলে আনস খান। কড়া সুরে বলেন, 'আমার বাবাকে চেনেন।' এরপর পুলিশ জরিমানা করতে গেলে বাবাকে ফোন ধরিয়ে দেন অভিযুক্ত। বিধায়ক ফোনে আর্জি জানান ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তবে সে দাবি কানে তোলেনি পুলিশ। তখন রাগে বিধায়ক বলেন, 'তাহলে আমাকেও গ্রেপ্তার করুন।' এই ঘটনায় আনস খানের বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিশ।
এদিকে গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ আমানাতুল্লা। তিনি বলেন, এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব আমি। আমরা সকলেই জানি এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে। আমার ছেলেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমিও ছাড়ব না। যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করব। যদি থানায় এফআইআর না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আদালতে গিয়ে এফআইআর দায়ের করব। এদিকে বিধায়ক পুত্রের দাবি, তাঁর বাবার জন্যই তাঁকে টার্গেট করেছে পুলিশ।
যদিও পালটা পুলিশের দাবি, ট্রাফিক আইন ভাঙার জেরে একাধিক ধারায় জরিমানা ও জিডি (general diary) করা হয়েছে। ভুল লেনে দ্রুত গতিতে বাইক চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। পাশাপাশি বাইকের সাইলেন্সার বদলে শব্দ দূষণ করছিলেন ওই যুবক। এমনই লাইসেন্স দেখতে চাইলে তা দেখাননি অভিযুক্ত। যার জেরেই এই জরিমানা করা হয়েছে।