shono
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী মোদির সুরক্ষায় আসছে ‘ড্রোন কিলার’, নিরাপত্তা বলয়ে ঢুকতে পারবে না মাছিও!

চিন-পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই প্রযুক্তি কাজে লাগাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
Posted: 08:55 AM Nov 30, 2020Updated: 10:19 AM Nov 30, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সাফল্যের পর ফের নতুন সাফল্য পেলেন দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) বিজ্ঞানীরা। এবার ড্রোন ঘাতক উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করেছেন তাঁরা। দেশের সুরক্ষার জন্য এটি দুর্দান্তভাবে কাজে লাগাতে পারবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বাসভবনের ছাদে বা তাঁর কনভয়ে কোনও একটি গাড়ির মাথায় রাখা থাকবে এই ধরনের প্রযুক্তি বা যন্ত্র।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সাগরে ভেঙে পড়া মিগ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার, এখনও নিখোঁজ দ্বিতীয় পাইলট]

জানা গিয়েছে, যে কোনও উচ্চতায় দিনে বা রাতে যে কোনও আবহাওয়ায় কাজ করবে এই ড্রোন ঘাতক প্রযুক্তি। এর সাহায্যে আকাশে উড়ন্ত যে কোনও ধরনের শক্তিশালী শত্রু ড্রোনকে বেশ কিছুক্ষণের জন্য দিশাহীন বা অকেজো করে দেওয়া যাবে অথবা মাঝ আকাশেই ধ্বংস করা যাবে। সেনার জন্য প্রচুর সংখ্যায় এই ড্রোন তৈরির জন্য ভারত ইলেকট্রনিক্স সংস্থাকে বরাত দিয়েছে ডিআরডিও। ডিআরডিও সূত্রে খবর, অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ অ্যান্টি ড্রোন প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে চিন বা পাকিস্তানের ড্রোন হামলা রুখে দিতেই। প্রধানমন্ত্রীকে শত্রুর ড্রোন থেকে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দিতেই এই ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার বা নিজস্ব বিমানেও থাকবে এই ব্যবস্থা। পরবর্তীকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে, সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ড্রোন ঘাতক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মতোই সুরক্ষা পেতে পারেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ব্যক্তিদের উপর যাতে ড্রোন মারফত শত্রু দেশের গুপ্তচর বা সেনারা আঘাত হানতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে যখন প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন তাঁর পোডিয়ামের কাছেই রাখা ছিল একটি কালচে সবুজ রঙের বড় মাপের যন্ত্র। অনেকটা টেলিস্কোপ বা দূরবীনের মতো দেখতে এটি। এই যন্ত্রটি ছিল ড্রোন ঘাতক প্রযুক্তি। এই যন্ত্র থেকে একসঙ্গে লেজার রশ্মি ও উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দতরঙ্গ বেরিয়ে শত্রুর ড্রোনকে অকেজো করে নিমেষে ধ্বংস করে দিতে পারে। সেনা সূত্রে খবর, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অস্ত্র ও মাদক পাচার করতে বা নজরদারি চালাতে ক্যামেরা লাগানো চিনা ড্রোন বা কোয়ড্রাকপ্টার ব্যবহার করে পাকিস্তানের সেনারা। সেগুলিকে সহজেই অকেজো করে দিতে পারবে ডিআরডিও’র এই নয়া প্রযুক্তি। লাদাখ সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা ড্রোনকে ধ্বংস করতে সক্ষম এই নয়া ভারতীয় ড্রোনগুলি।

[আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড টিকা নিতেই স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত!‌ ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি ব্যক্তির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement