সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই নানা 'নাটক' দেখেছে মহারাষ্ট্র। বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবিস নাকি শিব সেনার একনাথ শিণ্ডে, শেষ পর্যন্ত কে মসনদে বসবেন তা নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছিল। যদিও বৃহস্পতিবার ফড়ণবিসই শপথ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। আর সেই মঞ্চেই উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় রাজ্যপালের নির্দেশ যথাযথ পালন না করে শিণ্ডে বাড়ালেন অস্বস্তি। শপথবাক্যের 'স্ক্রিপ্ট'কে ছাপিয়ে কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে।
ঠিক কী হয়েছিল? বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। রীতি মেনে ফড়ণবিস ও অজিত পওয়ারের মতোই শিণ্ডেকেও শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন। কিন্তু শপথগ্রহণ শুরু হতেই দেখা গেল শিণ্ডে মোদি, শাহের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের জনতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন! এমনকী শিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরেকে 'হিন্দু হৃদয়সম্রাট' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলাই বাহুল্য, এর কোনওটাই স্ক্রিপ্টে ছিল না। রাজ্যপাল তাঁকে 'আমি' বলার সঙ্গে সঙ্গেই শিণ্ডে নিজের মতো করে শপথ নিতে থাকেন। ফলে দেখা যায়, রাজ্যপাল-সহ মঞ্চে আসীন হেভিওয়েট নেতারা সকলেই অস্বস্তিতে পড়েছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে শিণ্ডেকে থামিয়ে নতুন করে শপথবাক্য পাঠ করান।
প্রসঙ্গত, শপথ নেওয়ার সময় কী বলতে হবে তা ভারতীয় সংবিধানে বলা রয়েছে। সেই বক্তব্যই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হয়। এর মধ্যে কোনও সংযোজন কিংবা বিয়োজন করা যায় না। তেমন ক্ষেত্রে সেই শপথটি নেওয়া হয়নি বলেই ধরে নেওয়া হতে পারে। তবে এদিন রাজ্যপাল তেমন কিছু করেননি। দ্বিতীয়বার শপথ নিতে বলেন শিণ্ডেকে। এবার আর কোনও সমস্যা হয়নি। তাঁর বলা কথাগুলিই পাঠ করে শপথ নেন শিণ্ডে।
এমনিতেই শিণ্ডেকে ঘিরে গত কদিন ধরেই 'নাটক' অব্যাহত ছিল। 'মুখ্যমন্ত্রী-জট' কাটাতে শাহর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অজিত পওয়ার-ফড়ণবিস-শিণ্ডে। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার পরই তিনি নিজের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। পরে জানা যায়, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমনকী হাসপাতালেও যেতে হয় একদা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গীকে। শেষপর্যন্ত শিণ্ডে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়ে যান। কিন্তু এদিন আচমকাই তিনি এমন 'কাণ্ড' করায় মঞ্চে বসেই অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও।