সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পরে আয় অব্যাহত রাখতে, কর্মচারীদের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)-তে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। ইপিএফও-তে বিনিয়োগ করা অর্থের একটি অংশ অবসর গ্রহণের পরে পেনশন হিসাবে পাওয়া যায়। এবার সেই কর্মচারী ভবিষ্যনিধি প্রকল্প ইপিএফও-তে কিছু পরিবর্তন হতে চলেছে। নতুন নিয়মে কর্মীরা আরও বেশি সুবিধা পাবেন। এবং আরও বেশি সঞ্চয়ের সুযোগ যেমন পাবেন, তেমনই হঠাৎ কোনও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন বিনিয়োগকারী। সূত্রের খবর, ২০২৫ সালের মে-জুন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হতে পারে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্র সরকার ইপিএফও-৩.০ আনার পরিকল্পনা করছে। এটি কার্যকর হলে ইপিএফও-র নিয়মে অনেক পরিবর্তন হবে। তখন বিনিয়োগকারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলা এবং বিনিয়োগে আরও বেশি সুবিধা পাবেন। সরকার সম্প্রতি প্যান ২.০ প্রকল্প ঘোষণা করেছে। আশা করা হচ্ছে, সরকার এবার ইপিএফও ৩.০ প্রকল্প ঘোষণা করতে চলেছে। বর্তমানে কর্মীরা তাঁদের বেতনের মাত্র ১২ শতাংশ ইপিএফ-এ বিনিয়োগ করতে পারেন। নিয়োগকারী সমপরিমাণ অর্থ অ্যাকাউন্টে জমা করে। নতুন নিয়মে এই ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার প্রস্তাব রয়েছে। অর্থাৎ, কর্মীরা তাঁর ইপিএফও অ্যাকাউন্টে চাইলে আরও বেশি বিনিয়োগ করে রাখতে পারবেন। অবশ্য নিয়োগকর্তার অংশ একই থাকবে।
অনেক ইপিএফও সদস্য তাঁদের অ্যাকাউন্টে ১২ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু একটি ঊর্ধ্বসীমার কারণে তাঁরা তা করতে সক্ষম হননি। তবে, ইপিএফও ৩.০ চালু হওয়ার পরে, তিনি তার ইচ্ছামতো বিনিয়োগ করতে পারেন। এক ইপিএফও আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেক সদস্যই তহবিল থেকে আংশিক অর্থ তুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হন।
এমন পরিস্থিতিতে, এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে, ইপিএফও ৩.০ কার্যকর হলে কর্মীরা এটিএম-এর মাধ্যমে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার পরে, পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা সহজ হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, “এই সংক্রান্ত আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সদস্যদের আরও বেশি সঞ্চয়ের স্বাধীনতা দেওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য।” তখন বিনিয়োগকারীরা প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলা এবং বিনিয়োগে আরও বেশি সুবিধা পাবেন।