shono
Advertisement

‘২৬/১১ মুম্বই হামলায় কেন্দ্রের চরম সিদ্ধান্তহীনতার নিদর্শন’, দাবি তৎকালীন শীর্ষ আমলার

প্রকৃত তথ্য, সমন্বয়ের অভাবে সন্ত্রাসবাদী হামলার মোকাবিলা করতে সমস্যায় পড়েছিল কেন্দ্র।
Posted: 08:37 PM Dec 03, 2022Updated: 08:37 PM Dec 03, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬/১১ মুম্বই হামলার (26/11 Mumbai Attack) মোকাবিলা করতে গিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকৃত তথ্য, সমন্বয়ের অভাবে সন্ত্রাসবাদী হামলার মোকাবিলা করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ক্যাবিনেট সচিবকে। প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কেএম চন্দ্রশেখরের নতুন বই ‘অ্যাজ গুড অ্যাজ মাই ওয়ার্ড’-এ উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

Advertisement

প্রাক্তন ক্য়াবিনেট সচিব তাঁর নতুন বইতে লিখেছেন, যখন হামলা হয় কেন্দ্রীয়স্তরে কে কোন ভূমিকা পালন করবেন, সেটা স্পষ্ট ছিল না। ১৯৯৮ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদ তৈরির সরকারি পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু আসল সমস্যা রয়েছে ক্ষমতা ভাগাভাগির ক্ষেত্রে। প্রাক্তন ক্য়াবিনেট সচিব লিখেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদ তৈরি হয়েছে কিন্তু ক্ষমতা ও দায়িত্ব ক্য়াবিনেট সচিব ও উপদেষ্টার মধ্য়ে ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কার কোন ক্ষমতা রয়েছে, তা ঘিরে ধোঁয়াশা রয়েছে। এরপরই বিস্ফোরক দাবি করেছেন কেএম চন্দ্রশেখর। তাঁর কথায়, ২৬/১১-র হামলার মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছিল। উল্লেখ্য, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কেএম চন্দ্রশেখরকে ক্যাবিনেট সচিব হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘বেইমানমুক্ত মেদিনীপুর’, ডিসেম্বর জুড়ে নয়া কর্মসূচির ডাক অভিষেকের]

বইতে আরও লেখা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ গোয়েন্দা বিভাগ ও সশস্ত্র বাহিনী ক্যাবিনেট সচিবকে সমস্ত তথ্য দিত না। স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষামন্ত্রক কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে তারা আপডেট দিত। সময়মতো যথাযথ তথ্য় ছাড়া ক্যাবিনেট সচিবকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। কেএম চন্দ্রশেখর লিখেছেন, ২৬/১১ মুম্বই হামলা যখন ঘটে সেই সময় কে কী করবে তা নিয়ে স্পষ্ট ধারনা কারওর ছিল না। কারণ আইনশৃঙ্খলা তো রাজ্য়ের বিষয়। রাজ্য যদি সাহায্য চায় তবেই কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করতে পারে। আমাকে এই পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অথচ আগের রাত পর্যন্ত মুম্বইতে কী কী ঘটছে তা নিয়ে আমার কাছে বিস্তারিত তথ্য় ছিল না। গোয়েন্দাদের তরফে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। না জানতাম রাজ্য সরকারের কতটা ক্ষমতা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্করের ১০ জঙ্গির হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল মুম্বই (Mumbai)। প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১৬০ জন। তারপর থেকেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে পাকিস্তানের উপর লাগাতার চাপ বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লি। কিন্তু বরাবর জেহাদি হাফিজ সইদ ও সাজিদ মীরকে আড়াল করছে পড়শি দেশটি। তবে চাপের মুখে গত জুন মাসে মুম্বই হামলার মূলচক্রী সাজিদ মীরকে গ্রেপ্তার করে পাক প্রশাসন বলে খবর মেলে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের সহযোগিতায় মিউজিয়াম গড়বে নৌসেনা, থাকবে যুদ্ধজাহাজ ও বিমানের অংশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement